আমাদের দেশের খ্যাতনামা ধনকুবের হলেন রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। তবে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা দিক কোনো অংশে কম যান না তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানিও। বরাবরই নিজের বিলাসবহুল জীবন যাপনের জন্য শিরোনামে থাকেন তিনি। তাঁর নজরকাড়া স্টাইল স্টেটমেন্ট এবং বহু মূল্যের পোশাক থেকে গয়না কিংবা অন্যান্য সমস্ত জিনিসই হয়ে থাকে বহুমূল্যের। যার জন্য হামেশাই শিরোনামে উঠে আসেন নীতা। বিলাসবহুল জীবন যাপন করার কারণে ফোর্বস ম্যাগাজিনেও জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সংসারের সাথে পাশাপাশিই নীতা আম্বানি দেখাশোনা করেন তাঁদের পারিবারিক ব্যবসারও।
যখনই তিনি কোন পাবলিক ইভেন্টে যোগদান করেন তখন তাঁর পোশাক-আশাক থেকে গয়না সব কিছুই থাকে একেবারে দেখার মতো। তাই স্মিত হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকা নীতা আম্বানি কি পোশাক পরেছেন? কিংবা কোন গয়নায় সেজেছেন সেদিকেই তাক করে থাকে কয়েক জোড়া ফটো শিকারীদের চোখ। বরাবরই বিভিন্ন ধরনের দামি জিনিসের প্রতি আকর্ষণ নীতা আম্বানির। দেশের বিখ্যাত ধনকুবেরের এই স্ত্রী কিন্তু সৌন্দর্য্যের দিক দিয়েও টেক্কা দিতে পারেন তাবড় বলি সুন্দরীদের।
তাঁর ব্যবহৃত বেশিরভাগ জিনিসের দামই হয়ে থাকেন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের। তাই নীতা আম্বানির শাড়ি-গয়না, ব্যাগ,স্যান্ডেল চায়ের, কাপ এমনকি লিপস্টিকের বোতল কিংবা পারফিউম সবকিছুই জায়গা করে নেয় শিরোনামে। তাঁর সংগ্রহে থাকা বহু মূল্যের শাড়িগুলির দাম শুনলেও চোখ ওঠে কপালে। এমনই একবার বিশ্বের সবথেকে দামি শাড়ি পড়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছিলেন নীতা আম্বানি। সেই শাড়ির দাম ছিল ৪০ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে এই বহু মূল্যবান শাড়ি পরেই তিনি হাজির হয়েছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ পরিমল নাথওয়ানির ছেলের বিয়েতে। অতিথি হিসাবে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
তবে সকলের মাঝখানে মধ্যমণি হয়ে নজর কেড়েছিলেন নীতা। নিমেষের মধ্যেই প্রচারের সমস্ত আলো কেড়ে নিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ভারতীয় ধনকুবের স্ত্রী। হালকা গোলাপি রঙের ‘বিবাহ পাট্টু’ নামের ওই শাড়িটির ওজনই ছিল ৮ কেজির বেশি। কিন্তু জানলে অবাক হবেন এমনিই এই শাড়িটি বিশ্বের সবথেকে দামি এবং ওজনদার শাড়ি নির্বাচিত হয়নি। জানা যায় পান্না, রুবি,পোখরাজ, মুক্তোসহ বিভিন্ন মূল্যবান পাথর দিয়ে নকশা করা হয়েছিল নীতা আম্বানির এই বহু মূল্যবান শাড়ি। জানা যায় তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরামের ৩৫ জন মহিলা কারিগর ওই শাড়ি তৈরি করেছিলেন। যার নকশা করেছিলেন চেন্নাই সিল্কসের ডিরেক্টর শিবলিঙ্গম। এছাড়াও সবার চোখ টেনেছিল নীতা আম্বানির পরনে থাকা ব্লাউজটিও। অসাধারণ কারুকার্যে মোড়া এই ব্লাউজটিতে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছিল পিছন দিকে থাকা শ্রীকৃষ্ণের মূর্তির নকশা। এছাড়াও ওই বিশেষ দিনে নীতা আম্বানির সাজকে সম্পূর্ণ করেছিল তার গলার একটি হীরের নেকলেস এবং কানের দুল।
Leave a Reply