আমাদের দেশে দিনে দিনে বেড়ে চলেছে মদের ব্যবসা। মদের এই বিপুল চাহিদার জোগান দিতেই আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তো মদ তৈরি হয়ই পাশাপাশি বিদেশ থেকেও আমদানি করা হয় প্রচুর মদ। ব্যতিক্রম নয় পশ্চিমবঙ্গও। রাজ্যে প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা সুরাপ্রেমীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবার পশ্চিমবঙ্গেও একটি মদের দোকান কিংবা বারে বিনিয়োগ করে ব্যাপক লাভ হতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি মেনে এবার মদ বিক্রির লাইসেন্স পারেন আপনিও। নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি মেনে মদ বিক্রির লাইসেন্স পাবেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিরাও।
ভারতের যে কোনও রাজ্যে মদের দোকান খুলতে লাগে লিকার লাইসেন্স বা ওয়াইন লাইসেন্স। এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্যও রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম এবং শর্তাবলী। তার জন্য প্রথমেই আবগারি দফতর থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। তারপর ওই আবেদনপত্র জমা দিতে হবে ধাপে ধাপে কয়েকটি পদ্ধতি।। তবে এখনকার ভার্চুয়াল দুনিয়ার জগতে অনলাইনেই আবেদন করেও পাওয়া যায় মদের লাইসেন্স। এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হল।
পশ্চিমবঙ্গে মদের লাইসেন্সের আবেদন পদ্ধতি:
১ প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ আবগারি অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (excise.wb.gov.in) খুলতে হবে।
২. এরপর হোম স্ক্রীনে থাকা ‘নতুন লাইসেন্স’ -এ ক্লিক করতে হবে ।
৩. পরবর্তী ধাপে সিটিজেন কর্নার থেকে ‘প্রস্তুত আবেদন’ সিলেক্ট করতে হবে।
৪. এবার সামনে আসা বিভিন্ন অপশন থেকে পছন্দের বিষয় বেছে নিতে হবে ।
৫. নির্দেশ পৃষ্ঠা স্ক্রিনে আসার পর এগিয়ে যাওয়ার অপশন ক্লিককরতে হবে।
৬. OTP পাওয়ার জন্য বৈধ মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
৭. রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ফোনে আসা OTP দিতে হবে। এরপর, সাইটটি আবেদনপত্রে নিয়ে যাবে।
৮. সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পর সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
৯ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে, আবেদনপত্রের ফি দিতে হবে।
১০. টাকা দেওয়ার পর, আবেদনকারী কনফিগারেশন হিসাবে স্বীকৃতি পায়। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর অধিদপ্তর আবেদনকারীকে মদের লাইসেন্স প্রদান করে ।
পচিমবঙ্গে মদের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে এবং তাকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে। এছাড়া, ইন্ডিয়ান পার্টনারশিপ অ্যাক্ট ১৯৩২, কোম্পানিস অ্যাক্ট ১৯৫৬ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল কোঅপরেটিভ অ্যাক্ট ১৯৮৩-এর অধীনে তৈরি কোনও সংস্থাও মদের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন।
কত খরচ হয় এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য?
জানা যাচ্ছে এই খরচ সম্পূর্ণ মোদের দোকান বা বারের স্থানের উপর নির্ভর করে। রেস্টুরেন্ট বা বারে মদ বিক্রি করতে ৮০০০ টাকা থেকে ২৫০০০ টাকার মতো ফি দিতে হয়। এছাড়া প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা দিতে হয়। প্রাথমিক গ্রান্ট হিসাবে ৩ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকার ফি দিতে হয়। এমনকি সিকুরিটি ডিপোজিট হিসাবে ১ লাখ টাকা থেকে ২ লাখ টাকা দিতে হয়।
Leave a Reply