যাদবপুরের কুকীর্তি ফাঁস করলেন ‘পরাণ যায় জ্বলিয়ার’ শিশুশিল্পী অরিত্র দত্ত বণিক!
যাদবপুরের কুকীর্তি ফাঁস করলেন
‘পরাণ যায় জ্বলিয়ার’ শিশুশিল্পী
অরিত্র দত্ত বণিক!
যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে
কোন সিস্টেম নেই!
এখানে সিনিয়রদের পাশাপাশ
র্যাগিং করেন শিক্ষকরাও!
ফেসবুকে টেনে ছিঁড়লেন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোশ!
তর্কে বিতর্কে আলোড়ন ফেলেছে যাদবপুর! রাস্তাঘাট সর্বত্র শোরগোল রাজ্যের এই এলিট বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে। এখানাকারই স্বপ্নদ্বীপ নামক এক ছাত্রের রহস্যজনকভাবে পরলোকগমন ভাবাচ্ছে গোটা বাংলাকে! এই নিয়েই সরব রাজ্যবাসী, গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা। এবার মুখ খুলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অরিত্র দত্ত বণিক। যাকে পরাণ যায় জ্বলিয়া, চিরদিনই তুমি যে আমার, চ্যালেঞ্জ সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা গিয়েছে। অরিত্র নিজেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। অনেক বছর ধরেই যাদবপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সুবাদেই যাদবপুরের অন্দরে কি কি হয় সেই সব তার নখদর্পণে। স্বপ্নদ্বীপ কাণ্ডের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করেছেন যাদবপুরের কুকীর্তি। যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে অরিত্রের অভিজ্ঞতা এক কথায় ভয়ঙ্কর ও বিভীষিকাময়।
অরিত্র জানিয়েছে , যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে নাকি অর্ধেক সময় ক্লাসই হয় না। অধ্যাপকেরা নিজেদের মন চাইলে ক্লাসে আসেন, মন না চাইলে আসেন না। তার মতে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গর্ব হলেও, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে কার্যত কিছুই হয় না। এখানে বিশৃঙ্খলা ছাড়া আর কিছুই নেই। এখানকার পরীক্ষার প্রশ্নতেও অনেক অব্যবস্থা থাকে। নম্বর কমে যাওয়ার ভয়ে, ছাত্ররা প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। অরিত্র নিজে একজন কলা বিভাগের ছাত্র। তার অভিযোগ যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে কলা বিভাগে কোনও ক্যাম্পাসিং হয় না। এখানে দাদাদের পাশাপাশি র্যাগিং করেন অধ্যাপকেরাও। কারণ তিনি সাক্ষী থেকেছেন বেশ কিছু ঘটনার। তারই চোখের সামনে, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা ছেলেমেয়েদের হেনস্থা করেছে যাদবপুরের অধ্যাপকেরা। বাংলা মিডিয়ামের পড়ুয়াদের অপমান করে বলা হয়েছে- “তোমরা সাধারণ সরকারি চাকরি করো!” ইংরেজি মিডিয়ামের পড়ুয়াদের বলা হয়েছে, “তোমরা গবেষণা কর!” যাদবপুরে শ্রেণী বৈষম্য আজও বিদ্যমান বলে দাবি অরিত্রের। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী পড়ুয়ারা অনেক বেশি প্রাধান্য পায় বলেও অভিমত অরিত্রের।
স্বপ্নদীপের রহস্যজনকভাবে পরলোক গমনে অরিত্রের প্রশ্ন – কেন প্রাক্তনীরা পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও চার-পাঁচ বছর অনায়াসে দাদাগিরি চালানোর সাহস পায়? সুপারিনটেনডেন্ট নজর দেন না কেন? রাজনৈতিক নেতারা কেন ফোন করে বলেন, ‘ও আমার লোক ওকে থাকতে দিন।’
পরিশেষে অরিত্র যাদবপুরের উদ্দেশ্যে জানান, ‘‘আপনারা আসলে দায়িত্বজ্ঞানহীন, অকর্মন্য। ছাত্রদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। শিক্ষা মজা করার জায়গা নয়। ১০০ বছরের ইতিহাস ভেঙে খাওয়া যায় না। ২০২৩-এর ডেটা দেখান। ২০২৪-এর প্ল্যান বলুন। আমরা আজকের দিনের সুশিক্ষা, সুব্যবস্থা চাই।’’
Leave a Reply