জানেন যাদবপুরের র‍্যাগিং এ জুনিয়রদের সঙ্গে কি কি ঘটে? জামা খুলে হস্টেল ঘোরানো, পুরুষাঙ্গের সাইজ দেখানো, ফাঁস হল ১২টি চাঞ্চল্যকর তথ্য

জানেন যাদবপুরের র‍্যাগিং এ জুনিয়রদের সঙ্গে কি কি ঘটে? জামা খুলে হস্টেল ঘোরানো, পুরুষাঙ্গের সাইজ দেখানো, ফাঁস হল ১২টি চাঞ্চল্যকর তথ্য

জানেন যাদবপুরের র‍্যাগিং এ
জুনিয়রদের সঙ্গে কি কি ঘটে?
সিনিয়ররা কেমন আচরণ করে?

জামা খুলে হস্টেল ঘোরানো!
গোপনাঙ্গের সাইজ দেখানো!
বড় দাদাদের কথায় ওঠ বস!

একে একে ফাঁস হল
১২টি চাঞ্চল্যকর তথ্য!
শুনলে আঁতকে উঠবেন

স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্যজনকভাবে পরলোকগমন, উস্কে দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। একে একে সামনে নিয়ে আসছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বীভৎস কালো অধ্যায়। এতদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বলতেই পড়ুয়াদের চোখে ভাসত, নামী নামী প্রফেসর আর মেধাবী পড়ুয়াদের আঁতুড়ঘর। যাদবপুর মানেই শৃঙ্খলাবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নাহ! এই সবের আড়ালেও যাদবপুরে রয়েছে আরও একটি দুনিয়া। ভয়ংকর সেই দুনিয়া। যার প্রতি পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে বিষাক্ত ছোবল। স্বপ্নদিপ কাণ্ডের পরেই ফাঁস হতে শুরু করেছে সেগুলো। স্বপ্নদিপের অকাল প্রয়াণে র‍্যাগিং নিয়ে একে একে মুখ খুলছেন যাদবপুরের অন্যান্য পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি যাদবপুরের র‍্যাগিং মানেই সবার প্রথমে আসে ‘ইন্ট্রো’! এই ‘ইন্ট্রো’র অর্থ সবার কাছে যে অর্থ বহন করে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে একেবারে উল্টো। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা প্রতিটি নতুন পড়ুয়াকে অর্থাৎ ১ম বর্ষের পড়ুয়াদের এই ‘ইন্ট্রো’ দিতে হয় সিনিয়রদের। কেমন হয় এই ‘ইন্ট্রো’! ‘ইন্ট্রো’তে কি কি করা হয় ফাঁস করেছে, নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বেশ কিছু পড়ুয়া। এক নজরে দেখুন যাদবপুরের ‘ইন্ট্রো’তে জুনিয়রদের সাথে কি হয়-

এক, হস্টেলে আসা প্রতিটি নতুন পড়ুয়াদের ‘ইন্ট্রো’ দিতে হয় সিনিয়র পড়ুয়াদের কাছে।

দুই, খাওয়া-দাওয়া মিটলে ডাক পড়ে ‘ইন্ট্রো’-র জন্য।

তিন, ‘ইন্ট্রো’-র নিয়ম অনুযায়ী জুনিয়রদের প্রথম কাজ, প্রতিদিন রাত ১২ টা বাজলেই,
হস্টেলের প্রতিটি সিনিয়রদের দরজায় ধাক্কা দেওয়া।

চার, সিনিয়ররা দরজা খুললেই তাদের সাথে ভৃত্যের মতন আচরণ করা। তাদেরকে প্রভুর মতন মান্য করা। দরজা খোলা মাত্রই গড়গড় করে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিতে হয় জুনিয়রদের। এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট ফরম্যাট। সেই ফরম্যাটের উনিশ বিশ হলেই সর্বনাশ! কি সেই ফরম্যাট!

প্রথমে বলতে হবে নিজের নাম

এরপর বাবার নাম

মায়ের নাম

নিজের জন্মতারিখ

শিক্ষাগত যোগ্যতা

গোপনাঙ্গের দৈর্ঘ্য

শারীরিক মিলনের পারদর্শীতা

বাবা মায়ের শারীরিক সম্পর্কের তারিখ

এগুলো পর পর গুছিয়ে বলতে হবে।

পাঁচ, ‘ইন্ট্রো’ চলাকালীন ভুলেও মুখ দিয়ে ইংরেজি বার করা যাবে না। বার করলেই মুশকিল। পিঠে উত্তম পড়বে অনবরত মধ্যম কিল, ঘুষি।

ছয়, ‘ইন্ট্রো’ চলাকালীন গায়ে থাকবে না কোনও পোশাক। লজ্জাস্থান থাকবে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত।

সাত, ‘ইন্ট্রো’তে মেয়ে পড়ুয়াদের নিয়ে আজে বাজে মন্তব্য করতে হবে। তাদের শারীরিক গড়ন নিয়ে বিকৃত, কুরুচিকর আলোচনা করতে হবে জুনিয়রদের। সিনিয়রদের হাসাতে হবে।

আট, সিনিয়র দাদাদের সামনে জুনিয়রদের নানা রকম কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গি করে দেখাতে হবে।

নয়, ‘ইন্ট্রো’ শুরু হয় ডিনারের পর, চলে কাকভোর পর্যন্ত।

দশ, সিনিয়রদের সাথে বসে সুরা খাওয়ার নিদান রয়েছে। না খেলে জোর করে মুখে ঢেলে দেওয়া হবে। নয়ত ব্ল্যাকমেইল করার জন্য জুনিয়রদের কুরুচিকর ফটো তুলে নেওয়া হবে।

এগার, সিনিয়রদের সাথে বসে বিভিন্ন নিষিদ্ধ জিনিস নিয়ে কাজ করতে হবে। সিনিয়রদের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী চুল কাটতে হবে। চুল না কাটলে হুমকি!

বারো, কোনও জুনিয়র ‘ইন্ট্রো’ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটালে তার রেয়াত নেই। সাথে সাথে দরজার খিল দিয়ে হাঁটুতে শুরু হবে জোরে জোরে আঘাত। নয়তো কান ধরে ওঠবোস।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *