স্বপ্নদ্বীপের প্রয়াণে আটক সৌরভ চৌধুরী আসলে কে? ঠিক কতটা প্রভাবশালী এই যুবক? কি করত সে?
স্বপ্নদ্বীপের প্রয়াণে আটক
সৌরভ চৌধুরী আসলে কে?
তুখোড় মেধাবী!
অঙ্কে বড় বড় ডিগ্রী!
যাদবপুরের প্রাক্তনী!
টানা ১ বছর বহাল তবিয়তে
থেকেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে!
নিয়ম ভেঙ্গেছে দিনের পর দিন!
দাদাগিরি দেখিয়েছে জুনিয়রদের!
ঠিক কতটা প্রভাবশালী এই যুবক?
কি করত সে?
কেন একশন নেওয়া হত না তার বিরুদ্ধে?
নামজাদা এলিট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল স্বপ্নদ্বীপ। বুক ভরা আশা, দু চোখ জুড়ে স্বপ্ন! স্বনামধন্য প্রফেসরদর কাছ থেকে দেখবে, তাদের লেকচার শুনবে। বড় মানুষ হবে। বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে। গর্ব করে বলবে শহরের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেছে সে। নাহ স্বপ্নদ্বীপের, স্বপ্নগুলো আর পূরণ হল না। তার আগেই পরপারে চলে যেতে হল তাঁকে। সদ্য প্রাণ হারিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পড়ুয়া। রহস্যজনকভাবে প্রাণ হারিয়েছে এই তরুণ। সাত দিন হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। মাত্র তিন দিন ক্লাস করেছিল। তারপরই নিভে গিয়েছে স্বপ্নদ্বীপের স্বপ্নের দীপ। নেপথ্যে উঠে আসছে চক্রান্তের অভিযোগ। ইতিমধ্যে আটক যাদবপুরের এক প্রাক্তনী। প্রাক্তন ছাত্রটির নাম সৌরভ চৌধুরী। পরলোকগামী স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করা হয়েছে সৌরভকে। সৌরভের দিকেই প্রথম আঙ্গুল তুলেছেন স্বপ্নদ্বীপের বাবা। বারে বারে অভিযোগ তুলেছেন সৌরভের বিরুদ্ধে। এই প্রাক্তনীর সাথেই যাদবপুর ক্যাম্পাসের বাইরে আলাপ হয়েছিল স্বপ্নদ্বীপের বাবার। তার হাতেই ছেলেকে তুলে দিয়ে বলেছিলেন, ছেলে স্বপ্নদ্বীপকে দেখে রাখতে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বাসিন্দা সৌরভ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র। অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করেছে। মেধাবী ছাত্র। ২০২২ সালে এমএসসি পাশ করেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময়, সৌরভের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। যা ভাবাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকদেরও। সাথে দুটো মারাত্মক প্রশ্নও উঠে আসছে-
প্রথম প্রশ্ন?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নিয়ম, কোনও পড়ুয়া অপর পড়ুয়ার গেস্ট হিসেবে হস্টেলে থাকতে পারে। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই সৌরভ চৌধুরী পাশ করে যাওয়ার পরও নিজেই নিজের গেস্ট হিসেবে হস্টেলে থাকত। তাও টানা ১ বছর ধরে।
দ্বিতীয় প্রশ্ন?
হোস্টেল কতৃপক্ষের নজর এড়িয়ে এই কাজ কিভাবে করে আসছিল সৌরভ? হোস্টেল কতৃপক্ষ সায় না দিলে, কিংবা কোনও রাজনৈতিক ক্ষমতা না থাকলে এমনটা সম্ভব নয়। কারণ এইভাবে হোস্টেলে থাকা সম্পূর্ণ নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ। এর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি সৌরভের বিরুদ্ধে। ঠিক এই জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রশ্ন সৌরভ কি এতটাই প্রভাবশালী? যে কারণে তিনি পড়াশুনোর পাঠ চুকিয়েও হোস্টেলে থাকতে পেরেছিলেন? কেউ তাকে প্রশ্ন করার সাহসও পায়নি। এই সব তথ্য খুঁজে বার করতেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে সৌরভকে।
এদিকে সৌরভের গ্রেফতারির পর থেকেই তার পরিবারের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ভেঙে পড়েছেন সৌরভের বাবা-মা। তাদের দাবি, সৌরভ নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
Leave a Reply