ভারতের ‘ক্যাপ্টেন কুল’ তথা প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি হলেন একজন আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট তারকা। ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বজুড়ে রয়েছে তাঁর অগণিত ভক্ত। তবে ধোনির সবচেয়ে বড় ফ্যান কিন্তু থাকেন তাঁর নিজের বাড়িতেই। তিনি হলেন তাঁর নয়নের মণি অর্থাৎ একরত্তি মেয়ে জিভা। ২০১৫সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির একটি হাসপাতালে জন্ম হয় জিভার। এখন দেখতে দেখতে ছোট্ট জিভা বেশ বড় হয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে আট বছরের জিভা তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। এইটুকু বয়সেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও দারুন ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে ধোনি কন্যার। জিভার অ্যাকাউন্টটি হ্যান্ডেল করেন তার বাবা মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং মা সাক্ষী। রাঁচির ফার্মহাউসে বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকেন ছোট্ট জিভা। বর্তমানে রাঁচি থেকেই স্কুলিং করছে জিভা।
কিছু বছর আগেই জাতীয় ক্রিকেট দল থেকে অবসর নিয়েছেন ধোনি। যদিও এখনও চুটিয়ে আইপিএল খেলছেন তিনি। চেন্নাই সুপার কিংস-এর এই অধিনায়ক আইপিএল ছাড়াও বিভিন্ন নামী বিজ্ঞাপনী সংস্থার মুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে তাঁর। যা থেকে বছর বছর তিনি কোটি কোটি টাকা অর্থ উপার্জন করে থাকেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ধোনি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো জীবনযাপন করতেই বেশি পছন্দ করেন।
তাই নিজের শহর রাঁচিতেই ফার্ম হাউসে নিজের পরিবারের সাথে থাকেন মাহি। আসলে ধোনি চান মেয়ে জিভাকে নিজের মনের মতো করে মানুষ করতে। তাই নিজের শহরের সংস্কৃতিই বপন করতে চেয়েছেন মেয়ের মধ্যে। তাই সেখানেই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন, সিবিএসই-এর অন্তর্গত রাঁচির নামি স্কুল টরিয়ান ওয়ার্ল্ড -এ জিভাকে ভর্তি করেছেন মাহি। এটি একটি কো-এড স্কুল এবং এই স্কুলে বোর্ডিং-এর সুবিধাও পাওয়া যায়।
যেহেতু এই স্কুলটি দেশের শীর্ষ স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম তাই এই স্কুলের ফিস-ও যে আকাশছোঁয়া হবে তা বলাই বাহুল্য। ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, এই স্কুলে ক্লাস টু থেকে এইট পর্যন্ত প্রতি বছর ফিজ দিতে হয় ২,৭৫,০০০ টাকা। আর এই স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর স্টুডেন্টদের বার্ষিক ফিজ দিতে হয় ৩,০৫,০০০ টাকা৷ কিন্তু জিভা যেহেতু এখন ক্লাস থ্রি’তে পড়ে এবং সে একজন ডে স্কলার। তাই প্রতি মাসে তার স্কুলের খরচ পড়ে ২৩,০০০ টাকার কাছাকাছি। এখানে বলে রাখি, জিভা এই স্কুলেই যদি বোর্ডিংয়ে থেকে পড়াশোনা করত, তাহলে মেয়ের জন্য ধোনির বার্ষিক খরচ হত ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার কাছাকাছি।
Leave a Reply