বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

সংক্রমণ কাটিয়ে ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। টানা ১২ দিনের চিকিৎসার পর অবশেষে বাড়ি ফিরেছেন ৭৯ বছরের এই কমরেড। হাসপাতাল থেকে ফিরলেও বুদ্ধবাবুর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই রয়েছে তাঁর ফুল মেডিকেল সাপোর্ট। কিন্তু জানেন কি আলিপুরের উডল্যান্ডের মত হাসপাতালে এই ১২ দিনে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসার জন্য কত খরচ হয়েছিল?

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার খরচ নিয়ে ইতিমধ্যেই শোনা যাচ্ছে নানান গুঞ্জন। তবে বেসরকারি ওই হাসপাতাল সূত্রে খবর এই ১২ দিন যাবৎ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। জানা যাচ্ছে এই ১২ দিন বুদ্ধদেব বাবুকে সুস্থ করে তুলতে ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফ থেকে যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল সেখানে ছিলেন মোট ১১ জন বিশিষ্ঠ চিকিৎসক।

কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে সুস্থ করে তোলার জন্য তারা কেউই কোনো কনসাল্টেশন ফিস নেননি। তবে চিকিৎসকদের কনসাল্টেশন ফিস  ছাড়াও আলিপুরের এই বেসরকারি হাসপাতালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা বাবদ অন্যান্য খরচের বিল হয়েছে পাহাড় প্রমাণ। যদিও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর  চিকিৎসার এই খরচের একটা টাকাও দিতে হয়নি তার স্ত্রী কিংবা কন্যা পরিবারের কাউকেই। এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক বলেছেন ‘উনি গুরুজন। একসময় রাজ্যের অভিভাবক ছিলেন। ওনার চিকিৎসা করে সুস্থ করে বাড়ি পাঠাতে পেরেছি সেটাই আমাদের কাছে ফিস। উনি ভালো থাকুন আমরা শুধু সেটাই চাই।’

আলিপুরের অন্যতম পুরনো এবং বেসরকারি এই হাসপাতাল এর আগেও একাধিকবার শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বুদ্ধবাবু।  বুদ্ধবাবুর চিকিৎসার খরচ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার করে কিছু জানাতে চাইনি ঠিকই কিন্তু সূত্রের  খবর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের চিকিৎসায় গত ১২ দিনে ব্যয় হয়েছে প্রায়  ১১ লক্ষ টাকা। তবে জানা যাচ্ছে  এই বিলের ৫ লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়ে দিয়েছে সিপিআইএম রাজ্য কমিটি। বাকি টাকাটাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দলের তরফ থেকেই দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।  প্রসঙ্গত এর আগেও যতবার বুদ্ধদেব বাবু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার দলের তরফ থেকেই গ্রহণ করা হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *