বিয়ে মানেই অত্যন্ত পবিত্র একটি বন্ধন। যার মাধ্যমে বর বউ ছাড়াও নতুন সম্পর্ক তৈরি হয় দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। বিয়ের এই আনন্দ অনুষ্ঠান ঘিরে প্রত্যেক দেশেই রয়েছে নানান ধরনের রীতি-নীতি। যা বদলে যায় স্থান-কাল-পাত্র ভেদে। কোথাও কোথাও আবার বিয়ে ঘিরে থাকে আজব নিয়ম-কানুন। বিদেশে বিভিন্ন জনজাতির মানুষের মধ্যে বিয়ে ঘিরে এমন-এমন সব রীতিনীতি রয়েছে যা শুনলে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় যে কারও। আফ্রিকার উগান্ডার বানিয়ানকোল উপজাতিরা বহুদিন ধরেই মেনে চলেছেন এমনই এক প্রচলিত প্রথা। এখানকার নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের আগে হবু বরকে যাচাই করার জন্য তাকে এক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়তে হয়। আর তার সেই পরীক্ষা নিয়ে থাকেন হবু বউয়ের বাড়ির নিকট আত্মীয়রা।
বাড়ির আদরের মেয়েকে যে পাত্রের হাতে তুলে দিচ্ছেন তার সম্পর্কে খুঁটিনাটি যাচাই করতে তার এক বিশেষ পরীক্ষা নিয়ে থাকেন হবু কনের মাসিমা,কাকিমা কিংবা পিসিমারা। জানলে অবাক হবেন বিয়ের পর হবু বর তাঁদের মেয়ের সাথে শারীরিক মিলনে কতটা সক্ষম তা পরীক্ষা করার জন্য হবু কনের পিসিমা,মাসিমা,কাকিমারা নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েই সেই যুবকের সাথে যৌন মিলনে লিপ্ত হন। এইভাবেই তারা পরীক্ষা করে দেখেন হবু বর শরীরি ছলাকলায় কতটা পারদর্শী।
তাই সুন্দরী বউ-এর সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার আগেই শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের সাথে মিলন হয় হবু বরের। যৌন মিলনের পর যদি তাদের মনে হয় ওই যুবক কোনো ভাবে তাদের মেয়ের উপযুক্ত নয় তাহলে সেখানেই বন্ধ হয়ে যায় বিয়ের কথাবার্তা। আর বাড়ির লোকেরা যদি তাকে নির্বাচন করেন তাহলেই এগোয় বিয়ের কথাবার্তা। এখানেই শেষ নয় হবু বরের মিলন ক্ষমতা যাচাই করার পর হবু কনের মাসিমা পিসিমা কিংবা কাকিমাদের দায়িত্ব থাকে তাদের মেয়েরও কুমারীত্ব পরীক্ষা করে দেখা। তরুণী বিয়ের আগে কোনভাবে শারীরিক মিলন করেছিলেন কিনা তা দেখার পরেই এগোয় বিয়ের কথাবার্তা। এভাবেই বানিয়ানকোল জনজাতির মানুষরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিয়ের আগে হবু বর বউয়ের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন।
Leave a Reply