বিজ্ঞান আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ? এই প্রশ্নের উৎপত্তি হয়েছে প্রায় বিজ্ঞানের জন্মলগ্ন থেকেই। প্রযুক্তির ক্রমাগত উন্নতিতে সুবিধার পাশাপাশি একাধিক অসুবিধার মুখেও পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এই মুহূর্তে প্রযুক্তির নবতম সংযোজন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা সংক্ষেপে AI .যার অগমনে রীতিমতো ঘুম উড়ে গিয়েছে প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরতদের। আসলে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অগমনে দিনে দিনে কাজ কমছে সাধারণ মানুষের। রীতিমতো প্রশ্নের মুখে অসংখ্য মানুষের রুজিওটি। যে কোনো কাজ অল্প সময়ে নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করার কাজে দিনে দিনে গুরুত্ব বাড়ছে AI-এর।তাই কম সময়ে দ্রুত একাধিক কাজের জন্য অনেকেই এখন ভরসা রাখছেন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপরে।
গ্রাফিক ডিজাইন: বিজ্ঞানের আশীর্বাদে এখনকার দিনের নতুন মুশকিল আসান আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংক্ষেপে যা AI নামে পরিচিত। নতুন এই প্রযুক্তির দৌলতে এখন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার ছাড়াই শুধুমাত্র কয়েক লাইন লিখিত নির্দেশ দিয়ে অসাধারণ সব ডিজাইন করা যাচ্ছে। এমনকি সম্বব হচ্ছে মোশন গ্রাফিক্সও।
গানের সুর: এমন অনেকেই আছেন যাঁরা গান লিখতে পারলেও সঠিক সুর দিতে পারেন না। আর সুর ছাড়া অসম্পূর্ণ যে কোনো গান। তবে এখন অনেক অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট আছে যেখানে গানের কথা আপলোড করলেই সুন্দর সুর তুলে দেয় AI-এর আধুনিক প্রযুক্তি।
খবর খুঁজে দেয় : AI-এর যুগে এখন আর খবর মিস হওয়ার কোনো চান্সই নেই! এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে প্রয়োজনীয়সব খবর খুঁজে এনে পাঠকের সামনে তুলে ধরা যায় সহজে। এমনকি এই প্রযুক্তির সাহায্যেই সংবাদের মূল ঘটনাও সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যেতে পারে।
আঁকতে পারে ছবিও: অদেখা যে কোনো মানুষ কিংবা ঐতিহাসিক কোনো ব্যক্তিত্বের ছবি অবিকল এঁকে ফেলা সম্ভব এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে।
ভিডিও তৈরি: সাউন্ড এফেক্ট এবং ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিয়ে নিখুঁত ভিডিও বানানো যেমন কষ্টের তেমন সময়সাপেক্ষও । তাই কষ্ট এমং সময় দুই’ই কমাতে শুধু স্ক্রিপ্ট লিখেই AI দিয়ে চরিত্রসহ আকর্ষণীয় ভিডিও বানানো যায়।
স্বাস্থ্যসেবা: AI- এবার জায়গা নিচ্ছে চিকিৎসা জগতেও। হৃদরোগসহ মাল্টিপল স্কলেরোসিস, আলঝেইমার, ডিমেনশিয়া, পারকিনসনস, এমনকি সিজোফ্রেনিয়ার মতো রোগও প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা যায় এই প্রযুক্তির সাহায্যে। জন্য যাচ্ছে সুইডেনের গবেষকরা সম্প্র্রতি স্তন ক্যানসার নির্ণয়ে এক্স-রে চিত্র পাঠের কাজে AI ব্যবহার করে ইতিবাচক ফল পেয়েছেন ।
মার্কেটিং: এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করেই মার্কেটিং,ইউজার ও কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স, কিংবা প্রোডাক্ট অ্যানালাইসিসের মতো কাজগুলোও করা যাচ্ছে কম খাটনিতে।
Leave a Reply