জানেন সুচিত্রা সেন এক একটি সিনেমার জন্য কত টাকা করে নিতেন? উত্তম কুমারের থেকেও
ডবল রোজগার করতেন
জানেন সুচিত্রা সেন
এক একটি সিনেমার জন্য
কত টাকা করে নিতেন?
উত্তম কুমারের থেকেও
ডবল পারিশ্রমিক পেতেন!
ধারে কাছে ছিল না
সুপ্রিয়া থেকে মাধবী!
তার ১টি সিনেমার বেতন
১০টি সিনেমার সমান!
তার মোট রোজগারের টাকার
কেনা যাবে বড় বড় অট্টালিকা!
মহানায়িকার উপার্জনের অঙ্ক
জানলে আঁতকে উঠবেন!
বাংলার মহানায়িকা সুচিত্রা সেন! এমনি এমনি তো এই নাম আসেনি! মহানায়িকার মত কাজ করেছেন বলেই, তিনি আজ কিংবদন্তি, বাংলার মহানায়িকা! বাংলার এক নম্বর মহাতারকা। অভিনয়ের দিক থেকে তো তিনি সেরার সেরা, সেই নিয়ে বেশি শব্দ খরচ করে লাভ নেই। কিন্তু মহানায়িকার পারিশ্রমিক এর ব্যাপারে কোনও ধারণা আছে কি! সেই সময় তার ইনকামের অঙ্ক জানলে ভিমরি খাবেন! অভিনয়ে যেমন মহানায়িকা, পারিশ্রমিকেও তিনি পেতেন মহান সংখ্যার টাকা। রোজগারের দিক থেকে তিনি ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির রানী। পারিশ্রমিকের দিক থেকে তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারত না অন্যান্য নায়িকারা। সুচিত্রার উপার্জনের অঙ্ক শুনে লজ্জায় পড়ে যেতেন মহানায়ক উত্তম কুমারও। তিনিও পেতেন না মহানায়িকার সমান পারিশ্রমিক।
সেই সময় দাঁড়িয়ে সুচিতা সেন সিনেমা পিছু ইনকাম করতেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। মহানায়িকা, তার ছবি- “হার মানা হার”, ” নবরাগ”, “গৃহদাহ”, “দত্তা”- পিছু এক লক্ষ টাকারও বেশি পারিশ্রমিক। সেই সময় তিনি একমাত্র নায়িকা যার পারিশ্রমিকের অঙ্ক ছুয়েছিল লাখের ঘর। অন্য কোনও নায়িকা এই পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে এই দুঃসাহস দেখাতে পারেনি। সুচিত্রা সেনের ব্যক্তিত্ব থেকে কর্ম প্রতিভা এমনই ছিল যে, তার কথায় সিনেমার স্ক্রিপ্ট থেকে নায়ক পর্যন্ত বদলে যেত। পারিশ্রমিকের অঙ্ক তো কিছুই। তিনি এতটাই চাহিদা সম্পন্ন অভিনেত্রী ছিলেন যে, তার জন্য টাকা ওড়াতেও রাজি ছিলেন পরিচালকেরা। সুচিত্রা সেনকে রাজি করতে, তার মন মত পারিশ্রমিক দিতেও দ্বিধা বোধ করতেন না পরিচালকেরা। সকলের কাছেই তিনি ছিলেন ম্যাম সাহেব। সমসাময়িক অন্যান্য নায়িকাদের পারিশ্রমিক তার ধারে কাছেও ছিল না। সুপ্রিয়া দেবী, মাধবী মুখোপাধ্যায়ের মতন অভিনেত্রীরা পেতেন আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা করে।
বর্তমান প্রজন্মের টলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যেও সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান শুভশ্রী গাঙ্গুলী। যিনি ২৫ থেকে ২৭ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন ছবি পিছু। কিন্তু তিনিও ছাড়াতে পারেননি সুচিত্রা সেনকে।
Leave a Reply