পশ্চিম বাংলার অলৌকিক একটি শিব মন্দির! যার সামান্য প্রসাদ ও চরণামৃত খেলেই সেরে যায় কঠিন কঠিন রোগ

পশ্চিম বাংলার অলৌকিক একটি শিব মন্দির! যার সামান্য প্রসাদ ও চরণামৃত খেলেই সেরে যায় কঠিন কঠিন রোগ

পশ্চিম বাংলার
অলৌকিক একটি শিব মন্দির!

যার সামান্য প্রসাদ ও চরণামৃত খেলেই
সেরে যায় কঠিন কঠিন রোগ!

দূরে পালায়
ডায়াবেটিস থেকে ক্যান্সার!

সুস্থ হতে
লাখ লাখ রোগী ছুটে আসেন
এই জাগ্রত শিব মন্দিরে

কীভাবে সম্ভব এমন কাণ্ড!
উত্তর দিতে পারেনি
ডাক্তার থেকে বিজ্ঞানীরাও!

বাংলার কোথায় অবস্থিতি
এই মন্দির?’
কি নাম?

অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন একটি মন্দির! এখানে মানুষ আসে সুস্থ হতে। ডাক্তার বৈদ্য ছেড়ে দলে দলে রোগী আসে এই মন্দিরে। এখানে এলেই নাকি রোগ সেরে যায়। ডায়াবেটিস, ক্যন্সার, বাতের ব্যাথা নানা রোগের সমস্যা নিয়ে রোগীরা জড়ো হন এই মন্দিরে। এই মন্দিরে এসেই রোগীরা মুখে তোলেন প্রসাদ, চরণামৃত। এগুলোই তাদের কাছে ঔষধ! বাংলাতেই অবস্থিত ঐশ্বরিক শক্তিসম্পন্ন এই মন্দির। মুর্শিদাবাদের অন্তর্গত মসড্ডা গ্রামে অবস্থিত এই মন্দিরটি। নাম মুকুটেশ্বর শিব মন্দির। এই মন্দিরের শিব ঠাকুর নাকি খুবই জাগ্রত। রাতের বেলায় এখানে ঐশ্বরিক শক্তির আবির্ভাব ঘটে, এমনটাই শোনা যায় লোকমুখে। এই শিব ঠাকুরের দিকে তাকালেও নাকি গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। বিস্তর রহস্য রয়েছে এই মন্দিরকে ঘিরে।

মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা দিবস সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। লোকমুখে শোনা যায়, বাঘডাঙ্গার রাজা এই মন্দির তৈরি করেন। তবে এর পেছনে রয়েছে এক অদ্ভুত অবিশ্বাস্য কাহিনী। মন্দিরের সেবায়েতরা তাদের পূর্বপুরুষদের মুখে এমনই গল্প শুনেছে বছরের পর বছর। শোনা যায়, এই গ্রামের মাঝামাঝি আগে ঘন জঙ্গল ছিল। সেই সময় মুকুটেশ্বর নামক এক গো পালক রোজ তার গরু চড়াতে এই জঙ্গলে যেতেন। একদিন তিনি লক্ষ্য করেন, গরুর পালের মধ্যে একটি গরু বাড়িতে এসে দুধ দিচ্ছে না এবং সেই গরুটি বাকি গরুদের থেকে আলাদা হয়ে জঙ্গলের গভীরে ঢুকে যাচ্ছে যদিও বা ফিরেও আসছে কিন্তু দুধু দিচ্ছে না। কিছুদিন এমন চলার পর মুকুট ঘোষ এই বিষয়ে গ্রামবাসীদের বললে তারা গরুটির পিছু নেয় এবং দেখে গরুটি একটি জায়গায় নিজে থেকেই দুধ দিচ্ছে। এত দুধ দিয়েছে যে সেই অংশের মাটি ভিজে গেছে সবাই অবাক হলেও কিছু কুল-কিনারা করতে পারে না।

ঠিক এরপরের দিনই ফের ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে এবারে মুকুটেশ্বর নামক ওই গো পালক একাই যান সেই অংশে এবং সেই দুধে ভেজা স্থানটি খুঁড়তে শুরু করেন। কথিত আছে তিন ফুট গর্ত খোরার পরই তিনি চমকে ওঠেন। দেখেন একটি শিব লিঙ্গ উঠে আসছে। এরপর রাতেই তিনি স্বপ্নাদেশ পান ওই স্থানে মন্দির গড়ার জন্য এবং সেই মন্দিরের নাম মুকুটেশ্বর রাখার। এরপর ধুমধাম করে, ২০ ফুট চওড়া ও ২২ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ৩২ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনি দেওয়াল দিয়ে মন্দির নির্মাণ হয়। পুজো শেষে প্রসাদ বাগডাঙ্গা রাজ পরিবারের কাছে নিয়ে যেতে হয় সেবায়েতদের। সেই থেকে এখনও সারাবছরই দূর-দূরান্ত থেকে অগণিত ভক্ত ছুটে আসেন এখানে। তবে কীভাবে রোগ সেরে যায় সেই উত্তর দিতে পারেনি ডাক্তার থেকে বিজ্ঞানীরাও।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *