শিব মন্দির

মহাদেব মানেই একইসাথে ধ্বংস এবং সৃষ্টিকর্তা। তিনিই হলেন  আদিপুরুষ। বলা হয় আমাদের পৃথিবীতে শিবই শুরু এবং শিবই শেষ।  উপনিষদে লেখা আছে যখন আলো অন্ধকার,সৎ-অসৎ, পাপ পুণ্য বলে কিছুই ছিল না তখন ছিলেন শুধুমাত্র মহাদেব। তিনি হলেন সেই ঈশ্বর জনকে অল্পতেই সন্তুষ্ট করতে পারেন ভক্তরা। আমাদের দেশের নানান প্রান্তে শিবলিঙ্গকেই  ঈশ্বরের প্রতীক রুপে পুজো করা হয়ে থাকে। আমাদের সৃষ্টির ধ্বংস এবং রক্ষাকর্তা তিনি। আমাদের দেশে এমন কিছু শিব মন্দির আছে যেখানে গেলে আত্মা এবং মনের মধ্যে এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব হয়। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই মন্দির গুলি কোথায় অবস্থিত।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির: বারাণসীর অপর নাম কাশী। এই শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে একাধিক শিব মন্দির। বলা হয় বারাণসী গেলে অন্তত একবার দর্শন করতেই হবে এখানকার বিখ্যাত কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। তা না হলে নাকি ভোলানাথের দর্শন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই মন্দিরের ১৫.৫ মিটার উঁচু চূড়াটি সোনায় মোড়া। এখানে মহাদেব কে মদ বা সুরা দিয়ে পূজা করার নিয়ম রয়েছে। কথিত আছে এই মন্দিরের উষ্ণ বাতাস যেকোনো অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে পারে।

মীনাক্ষী মন্দির: দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর মাদুরাই শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মন্দির হল এই মীনাক্ষী মন্দির। যা দেবী পার্বতীর মীনাক্ষী রূপ এবং শিবের সুন্দরেশ্বর রূপের উদ্দেশ্যে নিবেদিত। তাই এই মন্দিরটি মীনাক্ষী আম্মান মন্দির বা মীনাক্ষী সুন্দরেশ্বর মন্দির নামেও পরিচিত। বছরের বিশেষ বিশেষ সময় এই মন্দিরে উৎসব পালন করা হয়। এই মন্দির আশ্চর্যজনক দ্রাবিড় স্থাপত্যশৈলীর জন্য বিখ্যাত।

স্তম্ভেশ্বর মন্দির: মহাদেবের একটি জাগ্রত মন্দির হল গুজরাটের স্তম্ভেশ্বর মন্দির। গুজরাটের কাভির কামবোই শহরে অবস্থিত এই মন্দিরটি দিনে দু’বার আরব সাগরের জলে ডুবে যায় এবং ফের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।। বিখ্যাত এই শিবমন্দিরের বয়স প্রায় দেড়শো বছর। এই অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী থাকতেই মন্দির এবং সংলগ্ন এলাকায় ভিড় করেন পর্যটকরা।

ভুবনেশ্বর লিঙ্গরাজ মন্দির:  ভারতের বৃহত্তম শিবলিঙ্গ রয়েছে ভুবনেশ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দিরে। জানা যায় এই মন্দিরের শিবলিঙ্গের উচ্চতা ৫৪ মিটার। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই  শিবলিঙ্গটি নিজ থেকেই গর্ভ গৃহে স্থাপিত হয়েছিল।

কৈলাস মন্দির: এই মন্দিরটি পশ্চিম তিব্বতে অবস্থিত কৈলাশ পর্বত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ হাজার ৬৫৬ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। এই মন্দিরের গায়ে অসংখ্য সংস্কৃত মন্ত্র খোদাই করা রয়েছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *