জানেন কে এই বিচারপতি অমৃতা সিনহা? যার ভয়ে ঘুম উড়েছে রাজ্যের দুর্নীতিবাজদের, বাংলার এই বাঘিনীকে চিনে রাখুন
জানেন কে এই
বিচারপতি অমৃতা সিনহা?
ধর্মাবতার হিসেবে যেন
এক বাঘিনীকে দেখছে গোটা রাজ্য!
যার ভয়ে ঘুম উড়েছে
রাজ্যের দুর্নীতিবাজদের
কাউকে রেয়াত করছেন না!
ভুল দেখলেই ঝাড় দিচ্ছেন!
শাসন করছেন!
অন্যায়ের সঙ্গে
কোনও আপোস নয়!
বিডিও, এসডিও, থানার ওসি
কেউ বাদ পড়ছে না
এই অগ্নিকন্যার প্রশ্নবাণ থেকে!
সম্প্রতি অমৃতা সিনহার বিচার করার বেশকিছু ভিডিও ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। যেখানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার রণমূর্তি দেখে সাধারণ মানুষ বলছে এবার আর পালানোর পথ পাবে না দুর্নীতি। রাজ্যের সমস্ত দুর্নীতি আর দুর্নীতিবাজদের মুখোশ খুলতে উপযুক্ত ব্যক্তি অমৃতা সিনহা। পঞ্চায়েত ভোটের অনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে যাবতীয় দু নম্বরি কাজ সবেতেই নজর রেখেছিলেন মানণীয় ধর্মাবতার।
দাপুটে বিচাপতি হিসেবে বেশ নাম ডাক রয়েছে অমৃতা সিনহার। *সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে,
তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয়। তার ডাকনাম অমৃতা। সেন্ট জেভিয়ারস কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। এরপর ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আইন এর ডিগ্রি অর্জন করেন।* ২০১৮ সালের মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রায় দু বছর তিনি সুনামের সঙ্গে এই দায়িত্বভার সামলেছেন। এরপর ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকেই স্থায়ী বিচারপতির দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নেন অমৃতা সিনহা। তথ্যসূত্রে জানা যাচ্ছে তার বাৎসরিক আয় ৭০ থেকে ৮০ লাখ। তবে আজ থেকে দু বছর আগেও এতটা পরিচিতি পাননি তিনি। কিন্তু সম্প্রতি কি এমন ঘটল যে, রাতারাতি আমজনতার মুখে মুখে ঘুরছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নাম! এমনকি রাজ্যবাসীর নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন তিনি! লোকমুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার নাম। তার আলোচনায় উঠে আসার প্রধান কারণ আরেক বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাস থেকে সরে যাওয়া কিছু মামলার দায়িত্ব পান অমৃতা সিনহা। তার পর থেকেই সকলের নজরে আসেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি ইতিমধ্যেই ইডি ও সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন, ঘুষ দিয়ে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়াও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পঞ্চায়েত ভোটের একাধিক হিংসা ও ছাপ্পা ভোট নিয়েও কঠোর হয়েছেন অমৃতা সিনহা। সেই সব বিচারের কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রীতিমত রণমূর্তি ধারণ করে চোখে চোখ রেখে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ছেন তিনি। সবাইকে এক হাত নিচ্ছেন চণ্ডীরুপি অমৃতা দেবী। জঙ্গিপাড়ার একটি বুথে কেন ব্যালট পেপার পড়ছিল সেই নিয়েও বিডিওকে তলব করেছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের হিংসাকে কেন্দ্র করে একের পর কড়া নিধান দিতে দেখা গিয়েছে অমৃতা সিনহাকে। ইনিই সেই বিচারপতি, যার মুখে শোনা গিয়েছিল- বাংলায় ভোটে জেতা মানেই যেন ৫ বছরের জন্য চাকরি পাওয়া- তার মুখের এই কথাটি সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে তার প্রতিটা পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার।
Leave a Reply