লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে পিছনে ফেলে বাংলা কাঁপাচ্ছে এই প্রকল্প! আবেদন করলেই পকেট গরম
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে পিছনে ফেলে
বাংলা কাঁপাচ্ছে এই প্রকল্প!
যেখানে বেশি লাভ!
বেশি আনন্দ!
আবেদন করলেই
পকেট গরম!
কি নাম প্রকল্পটির?
কীভাবে করবেন আবেদন?
কাদের জন্য এই সুবিধা?
বাংলার মানুষদের স্বার্থে বিভিন্ন রকম প্রকল্প-পরিষেবা চালু করেছেন মানণীয় মুখ্যমন্ত্রী। দিল দরদী মুখ্যমন্ত্রীর এই সমস্ত প্রকল্প থেকে লাভ ওঠাচ্ছে বাংলার অগণিত মানুষ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী এই প্রকল্পগুলোর কথা বাংলার ঘরে ঘরে শোনা যায়। বেশিরভাগের কাছে এই প্রকল্পগুলো অধিক জনপ্রিয় ও লাভবান। তবে আপনাদের অবগত করে রাখি যে, মমতা ব্যানার্জির আরও একটি দুর্দান্ত প্রকল্প রয়েছে। যা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কোনও অংশে কম নয়। যা লাভের অঙ্কে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকেও বাজিমাত দেবে। কারণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মাসে মাসে কেবল পাঁচশ আর এক হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু যে প্রকল্পটির কথা বলা হচ্ছে তাতে মাস গেলে দেওয়া হবে এক হাজার টাকা। এর কম পাবেন না। কোনও কিছু না করেই ফ্রীতে বাড়ি বসে এই টাকা পাবেন। কোনও ঝুট ঝামেলার বালাই নেই।
কি নাম এই প্রকল্পটির?
প্রকল্পটির নাম বার্ধক্য ভাতা।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্যঃ
রাজ্যের দরিদ্র প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সহযোগিতা করা এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। যে সমস্ত দরিদ্র বয়স্করা রয়েছেন, যারা শেষ বয়সে নিজের ভরণ পোষণ সামলাতে পারেন না, ছেলে মেয়েদের দ্বারা অবহেলিত তাদের জন্য সবচেয়ে উপকারী এই প্রকল্প।
সুবিধাঃ
এক, এই প্রকল্পের সাহায্যে, রাজ্যের, ৬০ বছর থেকে ৭৯ বছর বয়সী বাসিন্দাদের ১০০০ টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হয়। যার মধ্যে, ২০০ টাকা কেন্দ্র এবং ৮০০ টাকা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।
দুই, ৮০ বা তার থেকে বেশি বয়সের প্রবীণদেরও মাসে ১০০০ টাকা দেওয়া হয়। তবে তার মধ্যে, ৫০০ টাকা কেন্দ্র ও ৫০০ টাকা রাজ্য সরকার দেয়।
যোগ্যতাঃ
এক, বার্ধক্য ভাতায় আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ৬০ বা তার বেশি।
দুই, শারীরিক বা মানসিক ভাবে বিকলাঙ্গ মানুষের ক্ষেত্রে, বয়স ৫৫ বা তার বেশি হতে হবে।
তিন, আবেদনকারীর কোনোও উপার্জনকারী সদস্য থাকা যাবে না।
চার, আবেদনকারীর নিজের মাসিক আয় হতে হবে ১০০০ টাকার থেকে কম।
পাঁচ, আবেদনকারীকে অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া চলবে না। যদি পাই তবে, বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের সুবিধা পাবে না।
ছয়, এছাড়াও আবেদনকারীকে ১০ বছরের বেশি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
এই প্রকল্পের আবেদন প্রক্রিয়াঃ
বার্ধক্য ভাতায় নাম তুলতে প্রথমেই এই লিংকটি যান। গুগলে লিংকটি লিখে সার্চ করুন। লিংকটির নাম লিখুন এইভাবে- ‘Old Age Pension Form West Bengal Pdf’। এইভাবে লিখে সার্চ করুন। বার্ধক্য ভাতার Pdf ডাউনলোড হয়ে যাবে। একেবারে সহজ। এবার ফর্মটি প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। এরপর ফর্মটি আপনার এলাকার পঞ্চায়েত বা বিডিও বা এসডিও অথবা মিউনিসিপাল অফিসে গিয়ে জমা করুন।
বার্ধক্য ভাতায় যেসব ডকুমেন্ট লাগবেঃ
আধার কার্ডের জেরক্স
ভোটার কার্ডের জেরক্স
ইনকাম সার্টিফিকেট
রঙিন পাসপোর্ট ফটো
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট
রেশন কার্ডের জেরক্স
এছাড়াও বিস্তারিত জানতে চলে যান এই তিনটি অফিসিয়াল লিংকে-
বার্ধক্য ভাতা পশ্চিমবঙ্গ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট:
( লিংকগুলো এগুলো ভয়েসে না বললেও হবে )
( লেখায় দেখাবে )
https://prd.wb.gov.in/schemes/detail/b93d105f-8dd5-4a63-a916-041f2d48ea39
কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়েবসাইট:
(লেখায় দেখাবে )
https://egramswaraj.gov.in/
অন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট:
(লেখায় দেখাবে )
https://nsap.nic.in/
Leave a Reply