রাম মন্দিরের জন্য তৈরি হল বাহুবলী তালা! দাম ২ লক্ষ টাকা, উচ্চতা এক তলা বাড়ির সমান, কে বানিয়েছে এমন তালা?

রাম মন্দিরের জন্য তৈরি হল বাহুবলী তালা! দাম ২ লক্ষ টাকা, উচ্চতা এক তলা বাড়ির সমান,
কে বানিয়েছে এমন তালা?

রাম মন্দিরের জন্য তৈরি হল
বাহুবলী তালা!
দাম ২ লক্ষ টাকা!

উচ্চতা এক তলা বাড়ির সমান!
৩ জন মানুষের সমান!

ওজন ৪০০ কেজি!
১০টি হাতির সমান!

লাগাতে ও খুলতে লাগে
৫ জন মানুষ!
সময় লাগে ৪ ঘণ্টারও বেশি!

কে বানিয়েছে এমন তালা?
মন্দিরের কোথায় ঝোলানো হবে
এই তালাটি?

আর মাত্র কিছুদিনের অপেক্ষা, এর পরেই খুলে যাবে রামমন্দিরের দুয়ার। রাম লালার এই মন্দিরটিকে এক ঝলক দেখার জন্য মুখিয়ে আছে লাখ লাখ রাম ভক্ত। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে ভক্ত বৃন্দের কৌতূহলের কমতি নেই। তবে এবার রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে এমনই একটি বিষয় সামনে এলো যা দেখে থ গোটা ভারতবাসী। সামনে এলো রামমন্দিরের তালার ছবি। যার সাইজ দেখলে আঁতকে উঠবেন। এত বড় তালা বিশ্বের কোনো মন্দিরে নেই। এই প্রথম ভরতের রামমন্দিরের জন্য নির্মিত হল এত বড় তালা। চোর, ডাকাতের সাধ্য নেই তালা ভাঙার। একটি এক তলা বাড়ির সমান এই তালা। ৩ জন মানুষ একে অপরের উপর দাঁড়ালে এই তালার নাগাল পাবে। তালাটির ওজন ৪০০ কেজি। উচ্চতা ১০ ফুট, চওড়ায় ৪.৫ ফুট, পুরু ৯.৫ ইঞ্চি। ভাবতে পারছেন কতটা সুবিশাল এই তালা। বাহুবলির মত শক্তিশালী এই তালা। তালাটির চাবির সাইজও কম যায় না। চাবির দৈর্ঘ্য চার ফুট। এই তালাটির খুলতে ও লাগাতে ৪ ঘণ্টারও বেশি লেগে যায়। তালাটি খুলতে ও বন্ধ করতে কমপক্ষে ৫ জন লাগে। এই একটি তালার দাম ২ লক্ষ টাকা।

কিন্তু এত বড় তালা কীভাবে লাগাবে রামমন্দিরে! তাছাড়া বার বার এই তালা বন্ধ ও লাগানোটাও তো বেশ ঝক্কির। জানিয়ে রাখি, এই তালাটি একজন রাম ভক্ত রামমন্দিরের উদ্দেশ্যে বানিয়েছেন। তিনি এই তালাটি রামমন্দিরের উদ্দেশ্যে দান করেছেন। তার নাম সত্যপ্রকাশ। তিনি উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের বাসিন্দা। আলিগড় তালা চাবি তৈরির জন্য খুব বিখ্যাত। তিনিই নিজের সমস্ত সহায় সম্ভলকে সঙ্গী করে, ভগবান শ্রী রামের জন্য এই তালা চাবিটি বানিয়েছেন। মাসের পর মাস হাতুড়ি পিটিয়ে এই তালা চাবিটি বানিয়েছেন সত্য়প্রকাশ। সঙ্গে সাহায্য করেছেন তার স্ত্রী। দুজনেই রামভক্ত। তাই দুজন মিলেই রামের জন্য এই তালাটি নির্মাণ করেছেন। ইতিমধ্যেই তারা তালাটি অযোধ্যার রাম মন্দির কতৃপক্ষকে দান করেছেন। মন্দির কতৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রামভক্ত সত্যপ্রকাশের তালাটি তারা গ্রহণ করেছেন। তবে এই তালা কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা হবে সেই নিয়ে এখনও কিছুই জানায়নি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *