ভারতের একটি অঞ্চলে বিয়ের আগেই সম্পন্ন হয় ফুলশয্যা! চুটিয়ে হয় সহবাস, খাট ভাঙ্গলেই বিয়ের অনুমতি মেলে

বিয়ের আগেই ফুলসজ্জা! চুটিয়ে হয় সহবাস! খাট ভাঙলেই বিয়ের অনুমতি! ভারতেই রয়েছে এমন জায়গা

ভারতের একটি অঞ্চলে
বিয়ের আগেই সম্পন্ন হয় ফুলশয্যা!
চুটিয়ে হয় সহবাস!

উদ্দাম যৌন সুখে
মেতে ওঠে হবু বর-কনে!

খাট ভাঙ্গলেই
বিয়ের অনুমতি মেলে!

ভারতের কোন অঞ্চলে হয়
এমন কাণ্ড?

ভারতের একটি অঞ্চল যেখানে বিয়ের আগেই সম্পন্ন হয়ে যায় ফুলশয্যা। বিয়ের পূর্বেই হবু স্বামী ও স্ত্রী একই ঘরে থেকে রাত কাটান। সোহাগ রাত পালন করেন। শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। ভরপুর যৌন উদ্দীপনা উপভোগ করেন। আত্মীয়, স্বজনেরা নিজেরা দাঁড়িয়ে থেকে হবু স্বামী স্ত্রীকে বাসর ঘরে ঢুকিয়ে দেন। এর পর তাদের দরজা বন্ধ করে দিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে বলেন। এদের বিয়ের রীতি সম্পূর্ণ আলাদা। সাধারণ বিবাহ রীতি থেকে একেবারে ব্যতিক্রম। এমন আজব নিয়মটি প্রচলিত রয়েছে, ভারতের ছত্তীসগঢ়ে। সেখানকার আদি জনগোষ্ঠী, ‘গোন্ড’ নামক একটি সম্প্রদায় এই প্রথাটি মেনে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে। আপনারা হয়ত ভাবছেন এমনটা কেন করেন তারা। এর পেছনে রয়েছে ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ –

এক, এটি একটি প্রাচীন প্রথা। এই প্রথা দীর্ঘদিন ধরে মেনে আসছে গোন্ড উপজাতি। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, শারীরিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে বিবাহ নামক বিষয়টির স্থায়িত্ব নির্ভর করে। যার যৌন জীবন যত বেশি সুখের সে বাকি জীবনেও ততটাই সুখী হবে। তাই বিয়ের চেয়েও ফুলশয্যায় তারা অধিক বিশ্বাসী।

দুই, বিয়ের আগে হবু বর-বৌকে ফুলশয্যা করানোর মধ্যে দিয়ে প্রমাণ মেলে, স্বামী স্ত্রী সঙ্গমে কতটা পারদর্শী সেই দিকটিও। আগেই বলেছি এই উপজাতিদের মধ্যে যৌন জীবনের প্রতি ঝোঁক অধিক বেশি।

তিন, ফুলশয্যার মধ্যে দিয়ে হবু বর বৌ বিয়ের লাইসেন্স পায়। যেমন, বিয়ের আগে ফুলশয্যা করে যদি দুজনেই তৃপ্তি পায়, যৌন চাহিদা মেটে তবে বোঝা যাবে এই দম্পতি বিছানায় সুখী। অর্থাৎ এরা চির জীবন সুখী হতে পারবে। তখন এদের বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যদিকে যদি ফুলশয্যার খাটে দুজনেই ব্যর্থ হয়, শারীরিক চাহিদা মেটাতে অক্ষম থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের অকৃতকার্য বলে গণ্য করা হয়। বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয় না।

চার, বিয়ের আগে ফুলশয্যা করে হবু বর কোনে সন্তুষ্ট হলে বিয়ের পিড়িতে বসেন। অন্যদিকে যদি সন্তুষ্ট হন তাহলে সেই বাতিল করেন। অর্থাৎ যৌন সঙ্গমে সন্তুষ্ট না হলে উভয়েরই এক সঙ্গীকে ছেড়ে অন্য সঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে। এমনকি আনন্দপূর্ণ ফুলশয্যার প্রমাণ স্বরূপ এখানে খাট ভাঙার প্রথাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পাঁচ, ফুলশয্যা করতে গিয়ে যদি কোনও হবু কনে অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে, সেই সন্তানের দায়ভার সংশ্লিষ্ট হবু বরকেই নিতে হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *