পশ্চিম বাংলার স্কুল টিচারদের কড়া দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! চালু করলেন ৩টি নতুন নিয়ম, না মানলেই চাকরি বাতিল

পশ্চিম বাংলার স্কুল টিচারদের কড়া দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! চালু করলেন ৩টি নতুন নিয়ম, না মানলেই বিপদ

পশ্চিম বাংলার স্কুল টিচারদের
কড়া দাওয়াই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী!

চালাকি বন্ধ করে
শুধরে যাবে প্রতিটা শিক্ষক!

চালু করলেন
৩টি নতুন নিয়ম!

না মানলেই কঠোরতম শাস্তি!
নেওয়া হবে আইনি পদক্ষেপ!

এই ৩টি নিয়ম কি কি?
না জানলেই বিপদ!

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের সামনে বড় সড় ঝটকা। এবার বেজায় সমস্যায় পরতে চলেছেন বাংলার শিক্ষকেরা। মুখ্যমন্ত্রী এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, যার জেরে -ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি- অবস্থা হবে প্রতিটা সরকারি স্কুল শিক্ষকের। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকেরা দীর্ঘদিন ধরেই
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ করে আসছেন। কখনও পছন্দমত জায়গায় ট্রান্সফার, কখনও বেতন বৃদ্ধি! নানান সময় নানান ধরনের অভিযোগ! অথচ নিজেদের কর্মস্থলে করে চলেছে দেদার বেআইনি কাজ। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ৩টি মারাত্মক আইন বিরুদ্ধ কাজের অভিযোগ প্রায়শই উঠে আসছে। যা আর বরদাস্ত করছে না রাজ্য সরকার। এবার নড়েচড়ে বসেছে মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের বাড় বাড়ন্ত বন্ধ করতে হাতে নিল কড়া পদক্ষেপ। সোজা জানিয়ে দিল রাজ্যের সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা কোনও ভাবেই এই ৩টি বেআইনি কাজ করতে পারবে না। করলেই কঠোর শাস্তি। এমনকি চাকরিও চলে যেতে পারে। এখন থেকেই সাবধান হওয়ার বার্তা জারি করেছে। এক নজরে দেখুন, কোন ৩টি কাজ নিষিদ্ধ করা হয়েছে-

এক, প্রাইভেট টিউশন বন্ধ করাঃ- সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। চাকরিতে নিয়োগের আগেই এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয় প্রতিটা সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের। তবুও এই নিয়ম অমান্য করে, দেদার প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যাচ্ছেন বহু সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা। এবার থেকে এই কাজটি বন্ধ করতে হবে। নইলে চাকরি পর্যন্ত খারিজ হতে পারে।

দুই, ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশনের জন্য চাপ প্রয়োগঃ- অনেক সময় অভিযোগ আসে, সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা ছাত্র ছাত্রীদের প্রাইভেট টিউশনের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ভয় দেখায়, তাদের কাছে টিউশন না পড়লে মার্কস কাটা যাবে, ফেইল করিয়ে দেওয়া হবে। এই ধরনের ভয় ভীতি দেখানো হয়। ফলে কোনও উপায় না পেয়ে ছাত্র ছাত্রীরাও স্কুল শিক্ষকদের কাছে পড়তে বাধ্য হয়। এখন থেকে এই ধরনের অভিযোগ এলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিন, স্কুল শিক্ষকের পাশাপাশি অন্যান্য সেক্টরে কাজ করাঃ- অনেক সময় সরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা অন্যনায় সেক্টরেও কাজ করেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। বাড়তি উপার্জনের জন্য অনেকেই এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। এই ধরেনের অভিযোগ এলেই এবার থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *