গোটা পৃথিবীটা এখন বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিজ্ঞান কি সত্যিই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে? সত্যিই কি এলিয়েনদের অস্তিত্ব আছে? ক্যান্সার সারানোর ওষুধ কবে আবিষ্কার হবে? এমনই একাধিক অমীমাংশিত প্রশ্নের পাহাড় খুঁড়লে কি উত্তর দেবে বিজ্ঞান?
বর্তমানে আমাদের এই পৃথিবীর অধিকাংশই নির্ভরশীল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ওপর। অসংখ্য বৈজ্ঞানিকদের চেষ্টা এবং বুদ্ধির জোরেই আজ পর্যন্ত অনেক অসম্ভবকেই সম্ভব করা গিয়েছে। সমাধান হয়েছে একাধিক রহস্যের। যা দেখে মনে হয় একমাত্র বিজ্ঞানের কাছেই রয়েছে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর। কিন্তু আসলে তা নয়, মহাজাগতিক এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমাদের চারপাশে ঘটে চলেছে এমনই একাধিক ঘটনা যার ব্যাখ্যা হয়তো নেই বিজ্ঞানের কাছেও।ভবিষ্যতেও বিজ্ঞান সেই উত্তর খুঁজে পাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। আজকের প্রতিবেদনে থাকছে বিজ্ঞানের কাছেও অমীমাংসিত থাকা এমনই পাঁচটি প্রশ্ন।
ক্যান্সার থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব?
ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের ওষুধ আবিষ্কার হলে তা নিঃসন্দেহে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জগতে এক নতুন দিশা খুলে দিতে পারে। কিন্তু খোদ বিজ্ঞানীদেরই সন্দেহ রয়েছে সত্যিই সকল প্রকার ক্যান্সারের ওষুধ আদৌ কোনদিনও আবিষ্কার করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে! তবে বছরের পর বছর এই রোগটি নিয়ে নানান গবেষণার মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা অনেকটা সহজ হয়ে উঠছে। তবে ভবিষ্যতে ক্যান্সার থেকে সম্পূর্ণ সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় না।
সত্যিই কি এলিয়েনরা আছে?
একাধিক গবেষণা করেও পৃথিবী ছাড়া এখনও পর্যন্ত অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের সন্ধান পাননি বিজ্ঞানীরা। যদিও অনেক বিজ্ঞানীই দাবি করেন কোনভাবেই পৃথিবী একমাত্র প্রাণের উৎস হতে পারেনা। এছাড়াও কমপক্ষে ৪০ বিলিয়নেরও বেশি বাসযোগ্য গ্রহ রয়েছে এবং সেগুলো কেবলমাত্র আমাদের গ্যালাক্সিতেই অবস্থিত। তাই স্বাভাবিকভাবেই এলিয়েনদের থাকার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। কিন্তু এলিয়েন তো দূরের কথা আমাদের পৃথিবীতে কত প্রকারের প্রাণী রয়েছে সে বিষয়েও এখনও সঠিক উত্তর নেই বিজ্ঞানের কাছে।
পৃথিবীতে প্রাণের আবির্ভাব কিভাবে ঘটেছিল?
এটাও আজও অনেক বিজ্ঞানীদের কাছেই রহস্যজনক বিষয়। কিভাবে এক প্রকারের অণু থেকে কোষ আর সেখান থেকে জীবনের সৃষ্টি হল সেই তথ্যও সঠিকভাবে জানা নেই আজও। তবে বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ের উপর আজও জারি রেখেছেন তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
সৌরজগতে মোট গ্রহের সংখ্যা কত?
ছোটবেলাতেই আমরা বইতে পড়েছি ‘৯-এ নবগ্রহ’ অর্থাৎ বুধ,শুক্র, পৃথিবী,মঙ্গল,বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন এবং প্লুটো সৌরজগতে মোট নয়টি গ্রহ আছে। কিন্তু এই সংখ্যায় এখন এসেছে পরিবর্তন। অতি সম্প্রতি প্লুটোর সোলার সিস্টেমের মেম্বারশিপ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। সৌরজগতে কতগুলি গ্রহ রয়েছে তা বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের উপরে পরিবর্তনশীল। বলতে গেলে আমাদের সোলার সিস্টেমের বেশিরভাগ অংশই এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার করা হয়ে ওঠেনি।
আমরা কেন ঘুমাই?
মানুষ তার জীবনের ৩ ভাগের এক ভাগ সময় শুধু ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেন। তবে শুধু মানুষ নয় পৃথিবী সমস্ত প্রাণীরই ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। নিদ্রাহীনতা যে যে কাউকে ঠেলে দিতে পারে মৃত্যুর মুখে। কিন্তু যদি বিজ্ঞানকে প্রশ্ন করা হয় আমরা ঘুমাই কেন? তার উত্তর জানা নেই বিজ্ঞানেরও।
Leave a Reply