তৃণমূলকে গো হারান হারিয়ে।
পঞ্চায়েতের জয়ী বিজেপির এই টোটো চালক
টোটো চালানোই তার পেশা
রাজনীতি তার সখ
পঞ্চায়েতে নিজের তৃণমূল দাদাকে হারিয়ে
পঞ্চায়েত প্রধান বিজেপির বিকাশ চন্দ্র দাস
এবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে প্রার্থীদের মধ্যে যে বিচিত্রতা দেখা গেছে তা সত্যি বেনজির। কখনো দেখা গিয়েছে ২৩ বছর বয়সে শিক্ষা জীবন ছেড়ে প্রার্থী হয়েছে তরুণী ,অন্যদিকে 60 বছর বয়সে গিয়ে দলের হয়ে পঞ্চায়েতে লড়তে নেমেছেন প্রার্থী। এছাড়াও একাধিক ব্যতিক্রমী প্রার্থীকে দেখা গিয়েছে ভোটের লড়াইয়ে লড়তে। ঠিক যেমন নদীয়া কৃষ্ণগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বিকাশ চন্দ্র দাস ।
Byte
বিকাশ চন্দ্র দাস বিজেপি প্রার্থী হলেও পেশায় তিনি একজন টোটো চালক ,দিন গুজরান টোটো চালিয়েই। সকালবেলা টোটো না নিয়ে বেরোলে ভাত জোটে না পেটে । তাকেই এবার ১০২ নম্বর আসন থেকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি শিবির। উল্লেখযোগ্য বিষয় সেই একই আসন থেকে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার দাদা সমীর কুমার দাস। যথারীতি এ লড়াইয়ে বিকাশ বাবু যতখানি আকর্ষণীয় বিষয় ছিলেন ততখানি আকর্ষণীয় বিষয় ছিল এই লড়াই কারণ এই লড়াইয়ে তাদের দুজনের পরিচয় শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী নয় তারা ভাইও বটে ।
তবে একদিকে যখন পঞ্চায়েতে নিজেদের পতাকা ওড়াতে
তাবড় তাবড় গুটি সাজাচ্ছে শাসকদল তখন এই টোটোচালকের ওপর ভরসা রেখেছিল বিজেপি।
নির্বাচনের ফলাফল বের হতে দেখা যায় বিকাশবাবু ১১৯ ভোটে পরত করেছেন তৃনমূল প্রার্থী সমীর বাবুকে। তারপরেই একেবারে উল্লাস শুরু হয়।
তবে নির্বাচনে জেতবার পরই আবারো পুরনো ছন্দে ফিরে গেছে বিকাশ বাবুর জীবন । সেই সকাল আটটা বাজতেই টোটো নিয়ে বেরোনো, সারা দিনের মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা ,ভিন্ন ভিন্ন মানুষকে নিজের গাড়ি চড়িয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া । ভোটে জিতে যাওয়ার পরও নিজের পুরনো জীবন ভুলে যাননি তিনি ,নিজের দায়িত্ব নিজের কর্ম, ভুলে যাননি বিকাশবাবু।
Byte
Leave a Reply