পেট চালাতে টোটো চালক গৃহবধূ।
ছেলে মেয়েদের মুখে অন্ন তুলে দিতে পাড়ার মামনি আজ টোটো চালক।
স্বামীর অবহেলা গ্রাহ্য না করেই নিজের জীবন নিজেই চালাচ্ছে পাণ্ডবেশ্বরের এই তরুণী।
চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছে,
এখন শুধু মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম।
সমাজের সামনে নতুন দৃষ্টান্ত
যে রাধে সে চুল বাধে, আবার দরকার পড়লে স্টিয়ারিং হাতে বেরিয়েও পড়ে পেটে অন্ন জোগাতে । তার পক্ষে কিনা সম্ভব! স্বামী হাত ছেড়ে দিয়েছে বহু বছর আগে, তবে সে হাত ধরেছে দুই একরত্তি র তাদেরকে বড় করাই মামনির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সকালে পরিচারিকার কাজ বেলা গরাতেই টোটো চালক। একদিকে মা, অন্যদিকে টোটো চালিকা, নিজের জীবন নিজেই চালাচ্ছেন পাণ্ডবেশ্বরের এই গৃহবধূ।
Byte
বর্তমানে ওসিপি কলোনি এলাকায় বাস করছে মামনি । বাড়িতে তার দুই ছোট্ট সন্তান । অভাবের সংসারে ছেলেমেয়েদের মুখে দুবেলা দুটো ভাত তুলে দিতে এই বয়সেই অক্লান্ত পরিশ্রমী মামনি। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েই কিনেছেন টোটো। টোটো চালানোর পাশাপাশি বাড়িতে পরিচারিকার কাজও করে মামনি। দিনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কত ঘন্টা যে কেবলমাত্র অন্যের জন্য বাঁচে সে, তার হিসেব নিজেও রাখে না মামনি।
Byte
পেটের টান বড় টান। নিজের জল খেয়ে পেট ভরাতে পারলেও । যাদেরকে পেটে ধরেছেন, তাদেরকে বোঝাতে চান না সংসারে অভাব রয়েছে। তাই সমস্ত ভয়ে প্রতিকূলতা দূরে ঠেলে দিয়েই দিবারাত্র খেটে চলেছেন তিনি। টোটো চালিয়ে সংসার যেতে পারত তবে ছেলেমেয়েদের আরেকটু ভালো খাবার খাওয়াতে সকাল হতেই দুই বাড়িতে যান পরিচারিকার কাজ করতে। সেই টাকার কিছু অংশ প্রতি মাসে দিতে হয় ব্যাংকে টোটোর ঋণ চোকাবার জন্য।
তবে মামনীয় তো রক্ত মাংসের তৈরি, তারও তো ভয় রয়েছে ,যদিও মামণির বক্তব্য ভয় থাকলে ভাত জুটবে না। ভয় থাকলে ছেলেমেয়েদের খাওয়াবেন কি ?
Byte
মনে ভয় সংশয় থাকলেও কোনো উপায় নেই । পেটের দায় বড় বালাই বলে মামনি। তবে মামনি জানাই রাত্রিবেলা সে টোটো চালায় না। যদি কোনো কারণে যাত্রী নিয়ে যেতে গিয়ে রাত্রি হয়ে যায় সেই তখন সে তার ভাইকে ডেকে নেয়। যাত্রীদের তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েই ভাই-বোন পৌঁছে যায় বাড়িতে ।
Leave a Reply