Footge
নেচে গেয়ে শ্মশান যাত্রা
ছোট থেকে মেজ ,
মেজ থেকে বড়
৭০-৮০ বছর বয়সের লোকেরাও নাচছে মৃত্যু আনন্দে।
Bolohori
ঢাক ঢোল বেঞ্জো বাজিয়ে
২ ম্যাটাডোর লোক ভাড়া করে
শ্মশান যাত্রা হচ্ছে ।
Kadhe nichche
জানলে অবাক হবেন ,
মরে গিয়েছেন আর কেউ নয় তাদের পরিবারেরই মাথা. ।
ঘটনা শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে আপনার।
মারা গিয়েছে পরিবারের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য ।বয়স হয়েছিল ১১০। সকলের প্রিয়, কারো ঠাম্মা, কারো মা কারো শাশুড়ি, এই পার্বতী ঘোষ । তবে কোন অসুখ-বিসুখের জন্য নয়, ১১০ বছর বয়সে গিয়ে শরীর আর নিতে পারিনি চাপ, তাই বয়স জনিত কারণেই ইহলোক ত্যাগ করেছেন তিনি ।
যদি ওই 110 বছরের কোটা সম্পন্ন করায় কি চাড্ডিখানা ব্যাপার! স্বামীর চেয়েও বেশি দিন বেঁচেছেন তিনি । স্বামী ছিলেন ১০৫ ,তিনি ১১০ । পাঁচ বছর নিরামিষ খেয়ে বিধবা হয়ে বেঁচে ছিলেন তিনি। তবে পরিবারের এই সবচেয়ে পুরনো সদস্যর মৃত্যুতে বিন্দুমাত্র শোক নেই পরিবারে।
Byte0;00-0;33 sada
বাচ্চাদের কথা ছেড়ে দিন, চোখ দিয়ে বিন্দুমাত্র জল পড়ছে না নিজের সন্তানদেরও ।তাও এক আধটা সন্তান হলেও মানা যেত। এক ডজন সন্তান রয়েছে তার । তাদেরও বয়স প্রায় ৭০,৮০।মৃতা বৃদ্ধার একডজন ছেলে এবং মেয়ের ঘরের নাতি নাতির সংখ্যা প্রায় চল্লিশ। আবার তাদের সন্তান-সন্ত্রতি অর্থাৎ মৃতবৃদ্ধার পুতিঁর সংখ্যাও ৫০ ছুঁইছুঁই। যেন মনে হচ্ছে গোটা এক পাড়ার লোক ,আদতে তারা পাড়ার লোক নয় এটি শুধু পার্বতী দেবীর পরিবারের সদস্য । তারাই দুই মেটাডর ভাড়া করে নেচে গেয়ে শ্মশানে নিয়ে যাচ্ছেন পার্বতী দেবীকে।
Byte0;22-0;30 sobuj blouse
অবাক হবেন না, এটি নাকি পার্বতী দেবীর শেষ ইচ্ছে ,সেই মত সুদুর ফুলিয়া থেকে, শতাধিক নাতিনাতনির কাঁধে চেপেই প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে শান্তিপুর শ্মশানে পৌঁছান তিনি । সাথে পরিবারের লোকরা।
Byte0;9-0;17 floral
দুটি বড় সাইজের ম্যাটাডোর ভাড়া করা হয় মহিলা এবং বয়স্ক শশান যাত্রীদের জন্য। তবে পথের মাঝে তারাই মাঝেমধ্যেই তাসা ব্যঞ্জনের সাথে নেচে ওঠেন, মৃতার শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে। ঠাকুমার স্বর্গ লাভের কারণে বয়স্করাও আনন্দে মাতোয়ারা হয় এদিন। যা রীতিমতো অবাক করেছে এলাকাবাসীকে।
Leave a Reply