মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বাঁচাতে গিয়ে চাকরি হারিয়েছিলেন।
মমতার জীবন তো বাঁচিয়েছিলেন
তবে হারিয়ে ফেলেছিলেন সুস্থ জীবন।
আজ ক্ষমতায় আসতেই ভুলে গিয়েছেন মমতা।
দ্বিতীয় জন্মের পর রক্ষকে ই ভুলে গিয়েছেন দিদি
পুলিশের চাকরি ক্ষুইয়ে দিনমজুরের খাটনি খাটছেন
যে জীবন দেয় আর যে জীবন বাঁচায়। মানুষ তাকে কোনদিন ভোলে না । সত্যি কি তাই? তবে সিরাজুল বাবুর সাথে যা হলো তা কি ব্যতিক্রমী ?নাকি এটাই সহজাত বিষয় ।
যে সিরাজুল বাবু কে চেনার কথা গোটা বাংলার। সেই সিরাজুল বাবু আজ পাড়ার এক কোণে এক আম জনতা। তবে লোকে বলে এককালে তার পরিচয় ছিল পুলিশ কর্মী হিসেবে । এককাল মানে সেই বাম আমল । সেই আমলেই সরকার আসনে ছিল বামফ্রন্ট । আর রাজ্যে বিরোধী দলনেত্রীর ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্র রাজনীতি করবার পর তখন তিনি তরতাজা প্রাণ। ফুটন্ত রক্ত
রাজ্যে একাধিক আন্দোলন করছেন । তেমনই এক আন্দোলনে শেষ হয়ে যেতে পারত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধ্যায় । তবে সেই মুহূর্তেই উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটায় তরুণ সিরাজুল হক মন্ডল পুলিশ হওয়া সত্ত্বেও শাসকদলের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন মমতার ।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সচিত্র পরিচয় পত্রের জন্য মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। সেই দিন মিছিল করে যখন মহাকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কংগ্রেস নেতাকর্মীরা, ২৭ বছরের তরতাজা কনস্টেবল সিরাজুল তখন হাতে মাস্কেট নিয়ে ডিউটি সামলাচ্ছেন। সেই সময় কলকাতা পুলিশের তৎকালীন ডেপুটি কমিশনার দীনেশ বাজপেয়ীর নির্দেশে হঠাৎই লাঠিচার্জ শুরু করেন তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশ। চোখের সামনে বিরোধী নেত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখে স্পেশাল ব্রাঞ্চ এর অফিসার নির্মল বিশ্বাস এর নির্দেশে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল সিরাজুল হক মন্ডল নিজের সার্ভিস বন্দুক তাক করেছিলেন সুপিরিয়র দীনেশ বাজপেয়ী দিকে। ব্যাবন রোডের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত আজও মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দেয় প্রত্যক্ষদর্শীদের তবে যাদের মনে আছে তাদের তো আছে। এই ঘটনার কথা মনে নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই অবাক করে সিরাজুল কে তবে একজনের প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ চাকরি সমস্ত জলাঞ্জলি দিয়ে দেন সিরাজুল চাকরি তো যাই দীর্ঘদিন চলে তার ওপর মানসিক অত্যাচার আদালতে টানাটানি দরবারে দরবারে ঘুরেও হয়না সুরাহা
অবশেষে টাকার অভাবে আদালতের দরজায় ঘোড়া বন্ধ করে দেন চাকরি হারানো সিরাজুল। এখন ভাঙ্গাচোরা দরমার বেড়ার উপর টিনের চালা দেওয়া ঘরে মা ও বোন কে নিয়ে কোনো রকমে জীবন চালান সিরাজুল। দিনমজুরির কাজ করে পরিবারের মুখে তুলেদেন আহার। দীর্ঘদিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরজায় ঘুরেও লাভ হয়নি বিশেষ ।দিদি চিনতে পারেননি। দিদি ভুলে গেছেন এই আক্ষেপ কোথায় রাখবে সিরাজুল । শহীদ দিবসে আগে নিজেকেও জীবন্ত শহীদ বলে দাবি করেছেন তিনি
Leave a Reply