সব পুলিশ খারাপ নয় ইনি সত্যিই রক্ষক মাথায় ভর্তি উকুন গায়ে নোংরা জামা কাপড়
চোখে ধুলো জমতে জমতে চোখ খোলা দায়
কথাবার্তাও অসঙ্গতিপূর্ণ
রাতে লোকের কাছে তিনি ভিকিরি পাগল
পাগলকেই সুস্থ করলো পুলিশ
নিজ উদ্যোগে কত দরিদ্র মানুষের বাঁচার কারণ হলো এই পুলিশ
রক্ষকই ভক্ষক একথা বলেই আইনের রক্ষক প্রশাসনকে বারংবার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে সাধারণ মানুষ কখনো মানুষের রসের মুখে পড়েছেন তারা কখনো কিছু পুলিশ কর্মীর জন্য গোটা প্রশাসন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছে আর ঠিক যতবারই পুলিশ প্রশাসনের উপর প্রশ্ন উঠেছে ততবারই আদর্শ পুলিশ কেমন হওয়া উচিত তার উপমা দিয়েছে সাধারণ মানুষরাই নিজের উর্ধ্বের দায়িত্ব পালন করা তার কর্তব্য তবে আজ আর এমন পুলিশ এর কথা বলব এবং যা তিনি করেছেন তা হয়তো তার উর্দির দায়িত্ব নয় রক্তমাংসের তৈরি মানুষ যেতে নেই মানুষ যে তিনি মানুষ হবার নেই এক হতদরিদ্র তথাকথিত পাগলের জীবন বাঁচালেন চুঁচুড়া পুলিশ লাইনের পুলিশ কর্মী সুকুমার উপাধ্যায়
জেলবন্দি আসামিদের মেডিকেল করাতে গিয়ে সুকুমারের চোখে পড়ে এক হতদরিদ্র বৃদ্ধ পরনে তার ছেড়া জামা কাপড় মাথা ভর্তি জটা চোখ দুটো প্রায় বন্ধ। কখনো চুঁচুড়া ঘড়ি মোড় কখনো হাসপাতাল চত্বরি তার ঠিকানা কখনো রাস্তায় ভালো দু’চারটে মানুষ সাময়িক সাহায্য করলেও মাথার উপর ছাদ জোটেনি তার সেই বৃদ্ধেরই ওপর একদিন নজর যায় সুকুমারের তারপরে বদলে যায় এই ভিক্ষুকের জীবন জুটছিল না জামা জোগাড় করেনি পুলিশকর্মী ছিলনা ওষুধ চিকিৎসালয় নিয়ে যান এই পুলিশকর্মী ছিলনা সংসার পরিবারের খোঁজ লাগান এই পুলিশকর্মী আমি কি ডিউটি থেকে ফেরার এবং যাওয়ার সময় চোখের ড্রপ পর্যন্ত দিয়ে দেন সুকুমারবাবু বাবার বয়সী এই বৃদ্ধের সাময়িক অভিভাবক সুকুমার উপাধ্যায় একদিকে যখন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্য উত্তাল ঠিক সেই সময় সুকুমার উপাধ্যায়ের এ্যানো কাজ নতুন নজির গুলো তাতে কোন সন্দেহ নেই সুকুমার বাবুই যেন আদর্শ উদাহরণ এই উপমার যে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে কেউ নাই নিজের ক্ষমতা বাইরে গিয়ে মানুষ হওয়ার ভূমিকা পালন করেছেন তিনি
Leave a Reply