Nesha

এখানে দায়িত্ব নিয়ে নেশা ধরানো হয়” পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনের ৪ নম্বর গেট থেকে নেমে লিভার টনিক, জলজিরার দোকানের উল্টোদিকে খোলা আকাশের নীচে ১৯৮৩ সাল থেকে এই কাজই করে আসছেন সাদাব হোসেন এবং তার বাবা । তবে এই নেশা স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ভালো, নেই কোন সাইড এফেক্টস। মিউজিয়ামের সামনে পুরোন চামড়ার ব্যাগ, ১০০ টাকার জামার রিলের পাশে বসে বই বিক্রি করেন সাদাব হোসেন। এখন প্রশ্ন হল, তিনিই কেন আলোচনায়। এর উত্তরে দোকানে থাকা এক তরুণ বলেন, ” এই চত্তরের সবচেয়ে শিক্ষিত বই বিক্রেতা ও “।

ইংরেজি বই অনুরাগী সাদাবের স্বপ্ন ছিল ৯ ১০ টার চাকুরি জীবনে এঁটে ওঠা।চাকরিও করেন বেশ কিছুদিন। তবে এত বই কে পড়ে জানার আগ্রহ আর মা লক্ষীর দেখা পেতেই সরস্বতীর হাত ধরেছিলেন । ৫০% ছাড়ের মোরকে আর বাকি বই বিক্রেতাদের কাছে সাদাবের দোকান সবচেয়ে প্রাচীন। তখন পাতাল রেল না থাকলেও বই বেচতে দেখা যেত সাদাবের বাবকে।

এখন বই এর এই নেশা থেকে মুক্ত হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ তাছাড়া কলেজ স্ট্রিট থাকতে পার্কস্ট্রিটের চোখ ধাঁধানো দোকানের মাঝে সাদা মাটা এই দোকান চোখে পরা দুষ্কর। এমতাবস্থায় মিউজিয়ামে আসা দর্শক দের ওপর ই আস্থা রাখছেন সাদাব। দুই শতাব্দী ধরে বহু ফিরিঙ্গি পায়ের ধুলো পড়েছে তার দোকানে। বস্তুত তাদের জন্যই দোকানে ইংরেজি ব ইয়ের প্রাধান্য বেশি। সাদাবের দোকানের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চারপেয়েতে বসে থাকা যখন নিজের জীবনের দুঃখের কাহিনী শোনান। সাদাব তখনই হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেন।

 


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *