বাড়ুদের স্তুপে মুর্শিদাবাদ ।
বাতাসে বারুদের দমবন্ধ গন্ধ।
0:00-0;14 mohila
প্রথম দফা নির্বাচনের পরও অব্যাহত অশান্তি
Footge boma
ভয়, মৃত্যু ভয় নিস্পাপ মুখগুলো তে।
0;31-0;34 mohila
মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হাফটাইম । আর সেই হাফ টাইমেই রীতিমতো উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ ।তথ্য বলছে কার্যত বারুদের স্তুপে রয়েছে এই জেলা । প্রথম দফা নির্বাচনের পরেও অব্যাহত থাকলো বোমাবাজি, সন্ত্রাস । মুড়ি-মুরকির মতো বোম নিয়ে ছেলেখেলা । আর কত আর ঠিক কত বোম মজুদ ছিল? আর কত বোমাই বা রয়েছে মজুদ ? মুর্শিদাবাদে ভোটের পরের দিন একাধিক স্থানীয় এলাকায় চলল বোমাবাজি। আহতের সংখ্যা বাড়ল আরো। অবশেষে দেখা গেল পুলিশি তৎপরতা।
পঞ্চায়েত ভোটে স্পর্শকাতর একাধিক এলাকার মধ্যে মুর্শিদাবাদ ছিল অন্যতম ।মুর্শিদাবাদের একাধিক বুথে ভোট চলাকালীন তুমুল বিশৃঙ্খলা দেখা যায় । সেই মর্মেই সোমবার পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দেয়া হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। মুর্শিদাবাদের ১৭৫ টি বুথে ভোট হবার কথা আজ। মুর্শিদাবাদের বাকি বুথগুলি যেখানে ইতিমধ্যেই ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সেখানে ভোটের পরের দিনও অব্যাহত থাকল সন্ত্রাস। সোমবার পুনরায় নির্বাচনের আগে পর্যন্ত একাধিক স্থানে বিশৃঙ্খলার ছবি উঠে এলো ক্যামেরা সামনে।
রবিবার ফরাক্কার বল্লালপুর রেল গেটের কাছে রাস্তার উপর মুখে রুমাল বেঁধে চলে বোমাবাজি । মুখে রুমাল বেঁধে বেশ কয়েকজনকে দেখা যায় এলাকার মধ্যেই ছোঁড়া হচ্ছে বোম। চরম আতঙ্ক জড়ায় গ্রামে।গ্রামবাসীরা জানান এলাকার কিছুক্ষণ বোমাবাজি চালানোর পরই ওই দুষ্কৃতীরা ক্রমশ এগিয়ে যেতে থাকে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির দিকে। তৎক্ষণাৎ খবর দেয়া হয় প্রশাসনকে। কিছু সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থলে চলে আসে আইসি বিশাল পুলিশ বাহিনী।
0;00-0;33 lok
অন্যদিকে এই দিন মুর্শিদাবাদ জেলার সালার থানার অন্তর্গত চুনশহর গ্রামে নির্দল এবং তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু বাড়িঘর। , আক্রান্ত হন গ্রামের বাসিন্দারা।ইতিমধ্যে ঘটনায় আহত দুজন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সালার থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
0:11-0;37 rasta
তবে প্রথম দফা নির্বাচনের পরে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত থাকলেও অস্বাভাবিকভাবেই রাজ্য পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়। মুর্শিদাবাদের একাধিক স্থানে বোমাবাজির তথ্য উঠে আসতেই দেখা যায় পুলিশের ভূমিকা । জা নিয়ে হাজার অন্ধকারের মধ্যেও প্রদীপ দেখতে পাচ্ছে জেলার মানুষ । তবে নির্বাচনের দিন যে হিংসা ,যে সন্ত্রাস যে অরাজকতার সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী । যে কান্না যে রক্ত দেখেছে তারা । সেই দৃশ্য দেখার পর সোমবারের পুনঃনির্বাচনে আদৌ কত জন ভোটার লাইনে দাঁড়াবে ? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । তাদের নিরাপত্তাহীনতাকে কতখানি কমাতে পারবে রাজ্য পুলিশ তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন । কবে থামবে এই বারুদের গন্ধ তা নিয়ে উচ্ছে প্রশ্ন।
Leave a Reply