খেত।
তার নাম শুনলে শিরদাঁড়া দিয়ে বয়ে যেত ঠান্ডা স্রোত
এলাকায় সুপরিচিত ছিলেন তিনি
বামেদের সৈনিক
বামপন্থাই বিশ্বাসী
স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে তার ছিল চিরকালের লড়াই
জেলে গিয়েছেন বহুবার
তবু থামেনি তার লড়াই
দোর্দণ্ড প্রতাপ এই নেতার
এখনককার পরিচয় তিনি একজন চাষী
বামেরা আদর্শ্যচুত হয়েছে
বামা আমল কাটতেই শেষ হলো দাপট
সে এক আমল ছিল । যখন দাপট ছিল বামেদের। বামেরাই তখন রাজ্য চালাচ্ছে। সিংহাসনে তারাই। সেই সময় বুর্জোয়া নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিল একাধিক । তাদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত দু নম্বর ব্লকের শাসন গ্রাম পঞ্চায়েতর একটি নাম ছিল স্পষ্ট। যাঁর নামে সেই সময় বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খেত। তিনি সিপিআইএম নেতা মজিদ আলি, তবে সকলের কাছে তিনি বেশি পরিচিত শাসনের মজিদ মাস্টার নেমেই। মজিদ আলীর ইতিহাস ততখানি পুরনো যতখানি বামেদের , বাম আমলে জেলার রাজনীতিতে, বিশেষত ভেড়ি এলাকায় লালঝান্ডার একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতে তিনিই ছিলেন প্রধান কাণ্ডারী। তবে, দল করতে গিয়ে বহু সময় আক্রান্ত হতে হয়েছে তাকে। কিন্তু তার দৃঢ়তা, তার অদম্য জেদ, আর নীতিবোধ। বরাবরই ছিল অভেদ্য । মাঝে কেটে গিয়েছে বহু বছর । বদলেছে সরকার। বদলেছে সময়। বদলেছেন মজিদ মাস্টার । আজ তাকে দেখলে এ সমস্ত কথা মনে হবে গল্পকথা।
Byte
এখন কেমন আছেন মজিদ মাস্টার! কী ভাবে কাটছে দিন! আপনি জানলে অবাক হবেন বাম আমলের সেই মজিদ মাস্টার এখন একজন শিক্ষক । একজন চাষী সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আর পাঁচটা সাধারণ মানুষ যারা দুর্নীতির খবর শুনলে কোন প্রতিক্রিয়া না দিয়ে টিভির সামনে থেকে উঠে যায়। খানিক তাদের মত। যাতায়াতের পথে গ্রামের লোকেদের সঙ্গে দেখা হলে কথা বলেন। শাসন হাটে মাঝে মধ্যে সবজি বেচাকেনা করতেও যান। কেউ বাড়িতে আসলে গল্প করেন এর বাইরে আর কোথাও যান না তিনি।
Byte
একসময় বাম আমলে একনিষ্ঠ সৈনিক থাকলেও বর্তমানে শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে কোনো ক্ষোভ নেই তার মনে . ।তিনি নিজে মুখে স্বীকার করছেন সত্যিই উন্নতি হয়েছে রাস্তাঘাটের ,উন্নতি হয়েছে নিকাশি ব্যবস্থারও।
Byte
সরকারের বিরুদ্ধে তার কোনো ক্ষোভ না থাকলেও খানিক নিজের দলের বিরুদ্ধেই অভিমানে সুর শোনা যায় তার গলায় . ।তিনি বলেন সিপিআইএম পার্টি বর্তমানে আদর্শ্যচ্যুত হয়েছে। কারণ সিপিআই বা সিপিআইএম-এর প্রধান রাজনৈতিক শত্রু কংগ্রেস। সেই কংগ্রেস এখন বন্ধু হয়েছে। মাস্টারের কথায়, “কমিউনিস্ট পার্টির মূল শক্তি হল আদর্শ। কোনও বুর্জোয়া দলের সঙ্গে যদি সমান হয়ে যায়, তাহলে সিপিআইএম-কে কেন
Leave a Reply