নিজের বিয়ে নিজেই ভাঙল তরুণী।
পড়াশোনা করতেই বিয়ে ভেঙে দিলো দশম শ্রেণীর পড়ুয়া ।
নষ্ট হল পাকা দেখা ।
বিয়ের দু দিন আগেই ভাঙল বিয়ে।
তরুনীর এক বুদ্ধিতেই হল মুশকিল আসান।
জোড় করে বিয়ে দিতে গিয়ে বিপাকে মা ।
।
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে। এই একলা চলার পথে বাধা হয়তো আসবে প্রচুর। তবে থামবে না কিছুই ।বাড়ির বোঝা সে, বাড়ি থেকে বিদায় করতে পারলেই হয়। পারলে গঙ্গা রামের মত পাত্রর গলায় ঝুলিয়ে দিতে পারলেই বাঁচেন পরিবারের লোকেরা । তবে সে চায় অন্য কিছু,।না মানে নাই। বাড়িতে বলে কিছু হচ্ছে না । স্বয়ং বিডিও অফিসে গিয়ে নিজের বিয়ে ভাঙল তরুণী ।
বয়স মাত্র ১৬। দশম শ্রেণীর ছাত্রী ওই কিশোরী জীবন সবে শুরু। এখনো অনেকটা পথচলা বাকি। আরো অনেকটা শিক্ষার আলোয় নিজেকে নিয়ে যাওয়া বাকি। এই যেন কিছুতেই বোঝাতে পারছে না সে পরিবারের লোকেদের। মাসিলার বাসিন্দা এই পরিবার যে কোন মতে চাইছে মেয়ের বিয়ে দিতে। সেই মর্মেই বিয়ে ঠিক করেছিলেন মা সুখ মায়া বকশি । তবে কে জানত তার আগেই তার সমস্ত কৌশলে জল ঢেলে দেবে মেয়ে স্বয়ং
। জানা যায় বন্ধুদের সঙ্গে পুরো বিষয়টি আলোচনা করেই সোমবার তিন বন্ধুসহ বিডিও অফিসে পৌঁছে যায় সে। স্থানীয় বিডিও কে জানায় তার সমস্যার কথা। তখন তারা পদক্ষেপ নেয় বিডিও অফিসার। ফোন করে ডাকা হয় মাকে
। এই প্রসঙ্গে সাঁকরাইলের বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, মেয়ের বাবা না থাকায় মেয়েকে পাত্রস্থ করতে চাইছিলো ওই পরিবার। এর পরেই মা সুখমাইয়া দেবীকে বোঝানো হয় ভারতীয় আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কোন মেয়েকে বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। বিশেষত যেখানে মেয়ের নিজেরই সমর্থন নেই এই বিয়েতে। এই ঘটনার পরে কার্যত তরুনীর সাহসকে প্রশংসা করেছে একাধিক মানুষ। কথায় আছে মানুষই একমাত্র পারে নিজেকে সাহায্য করতে। সে কথা বোধ হয় তরুণী আবারও প্রমাণিত করল । নিজের জীবনে এগিয়ে যেতে স্বপ্নপূরণ করতে নিজের বিয়েই ভাঙলো এই তরুণী।
Leave a Reply