প্রতিকূল পরিবেশে ফলন হচ্ছে জাপানের মিয়াজাকি ।
ডুয়ার্সের প্রতিকূল পরিবেশে মিয়াজাকি চাষ।
এক বেসরকারি রিজোর্টে অজান্তেই কোন বিশেষ দেখভাল ছাড়াই বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমের ফলন
জানতোই না কর্তৃপক্ষ
বাড়ির ছাদ ছেড়ে এবার
জাপানের মিয়াজাকি ডুয়ার্সের হোটেলে
ফলের রাজা আম আর আমদের রাজা মিয়াজাকি । সম্প্রতি কয়েক মাস ধরে উত্তেজনার কোন শেষ নেই জাপানেরই মিয়াজাকি নিয়ে।এর ফলন দেখা গিয়েছে মালদায় এমনকি গৃহস্থের বাড়ি প্রবীর বাবুর বাড়ির ছাদে। এবার সেই মিয়াযাকি বেসরকারি রিজোর্টে র বাগানে। একাধিক গাছের পাশে বেড়ে উঠছে মিয়াজাকি । ডুয়ার্সের দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে বহুমূল্য এই গাছের চারা অথচ জানেনা কর্তৃপক্ষ। মূর্তি নদীর তীরে রয়েছে জেএমবি রিসোর্ট। তাদের বাগানে কয়েক বছর আগে বেশ কয়েকটি আমের চারা লাগিয়েছিলেন। সম্প্রতি সেই সব গাছে ফলন এসেছে। ফলেছে সুদৃশ্য সুস্বাদু মিয়াজাকি আম।প্রথমে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেনি। কিছু ডাক্তার ঘুরতে এসে সনাক্ত করেন এটা মিয়াজাকি প্রজাতির বহু মুল্য আম।
এনিয়ে রিসোর্টে ম্যানেজার সত্যব্রত ব্যানার্জি জানান,
Byte
প্রসঙ্গত ডুয়ার্সের যে আবহাওয়া বিরাজমান সে আবহবাহায় আমের ফলন হলেও কাঁচা আমের পর পাকা আম হলেই তা পোকায় নষ্ট করে দেয় . । তাই ডুয়ার্সে যেসব আমফলে তা কাঁচা অবস্থাতেই সব ব্যবহার করা হয়। সেই আবহাওয়াতেই এবার ২ হাজার টাকা মূল্যের আম।তবে অজান্তেই যে বাগানে ফুটছে আম তা জানতে পাড়াতে বেশ খুশি হয়েছে কর্তৃপক্ষ। হবেনা কেন?
জাপানি ভ্যারাইটির এই আম যেমন সুস্বাদু তেমন বাজার দর যথেষ্টই উচু।রপ্তানি যোগ্য এই আম ১০০০ টাকা থেকে ২০০০ কেজি দরে দেশ ও বিদেশের বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। অনলাইনে অর্ডার দিলে পাওয়া যায়।এমনও দেখা গেছে, এই প্রজাতির আম কেজি প্রতি লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এহেন বহু মুল্য আমা ফলিয়ে তাক লাগিয়েছে ধুপঝোড়ার এক বেসরকারি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।
শুধু তাক লাগানোই নয়, আমা দেখতে এবং তার স্বাদ পেতে বহু মানুষ ও পর্যটকরা ভীড় জমিয়েছেন এই রিসোর্টে।
Byte
বর্ষায় বনের দরজা বন্ধ। পর্যটকদের আগমন কম। সেই অবস্থায় শুধু আমের ফলন দেখতে ভীড় করছেন সাধারণ মানুষ থেকে পর্যটকরা।
বর্ষার ভেজা মরসুমে শুধু আমের আকর্ষনে মানুষ আসছেন। এযেন এক নতুন দিশা পর্যটনে।
Leave a Reply