স্ত্রীর গায়ে গরম জল ঢেলে
গলায় ছুরির কোপ
ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিল মা
রক্তের সম্পর্ক ভুলে বৌমার পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল এই শাশুড়ি ।
ছেলে মানসিক অবসাদগ্রস্ত।
0;21-0;26—0;34
বৌমার চিকিৎসা করিয়ে
নাড়ির টান ভুলে ছেলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ মায়ের।
0;45-0;51—1;36
আদর্শ শাশুড়ি বৌমা সম্পর্ক হবে তিক্ততায় ভরা ।রাতদিন লেগে থাকবে দ্বন্দ্ব। এই বিষয়কে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছে মানুষ। টিভির পর্দাতেও তাই তুলে ধরা হয়। তবে এই শাশুড়ি সত্যি ব্যতিক্রমী। নিজের ছেলে পাশবিক অমানবিক বলছেন স্বয়ং মা। নাড়ির টান ভুলে বৌমার পাশে দাঁড়ালেন শাশুড়ি। ছেলেকে অপরাধের শাস্তি দিতে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন নিজের মা। নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত নারায়নপুর চন্দ্রপুরে গ্রামের ঘটনা দেখে স্তম্ভিত মানুষ।
Byte
ভবানী মন্ডলের পুত্র আদিত্য মন্ডল এবং তার স্ত্রী রিমা মন্ডল কর্মসূত্রের বাইরে থাকেন। একই হোটেলে চাকরি করেন তারা। বর্তমানে পারিবারিক এক মৃত্যুতেই আদিত্য স্ত্রী সহ এসেছিলেন নিজের বাড়িতে।
1:3-1:20
হঠাৎই দুপুরবেলা ছেলে এবং বৌমার ঘর থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনেই দৌড়ে যান ভবানী । দেখতে পান বৌমার গলা দিয়ে বেরোচ্ছে রক্ত চিৎকার করে আর্তনাদ করছে বৌমা। তৎক্ষণাৎ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রস্তুতি নেয় ভবানী। এরপরই জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেন তিনি।নিজে থেকেই পুলিশ কে ফোন করে মানসিক বিকারগ্রস্ত ছেলেকে ধরিয়ে দেন পুলিশে। তবে হঠাৎই ছেলের এমন কান্ডের পিছনে কারণ কি?
0;21-0;26—0;34
ভবানী দেবী জানান , ছেলে যে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মাঝে মধ্যেই থাকে তা জানা আছে। ওর মানসিক সমস্যাও আছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বৌমা রিমার থেকে জানতে পারেন , তার স্বামী আদিত্য তাকে ঘরে ডেকে তার পাশে শুতে বলেন , কিন্তু অসময়ে কোনো কারণ ছাড়াই শুতে রাজি না হওয়ায়, পেছন থেকে কফি খাওয়ার জন্য যে গরম জল তৈরি করে রেখেছিলেন তা ঢেলে দেন গায়ে, এর পরেই হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে।
Byte0;00-0;45—-1;36
বর্তমানে জানা যাচ্ছে এই ওই গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার জন্যই তাকে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে কৃষ্ণনগরের স্থানান্তরিত করা হয় । এই সমস্ত বিষয় নিজে দায়িত্ব নিয়ে করেন তিনি।একদিকে বৌমার চিকিৎসা অন্য দিকে ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে কর্তব্য পরায়ণতার নতুন সংজ্ঞা সৃষ্টি করলেন ভবানী দেবী। প্রত্যেকটি তথাকথিত শাশুড়ির সংজ্ঞা কে ভেঙে দিয়ে তিনি নতুন পথ দেখাচ্ছেন।
Leave a Reply