সাপের সঙ্গে সহবাস করে বাড়ির মহিলা
রান্না ঘরেই বাস সাপেদের
একসাথে ৪০ টি সাপের বাচ্চা থাকে রান্না ঘরে
তাদের সঙ্গে শোয়া তাদের সঙ্গী ঘুম থেকে ওঠা
মানুষের মতোই যতত্রত হাঁটাচলা করে বেড়ায় এসব
দীর্ঘদিন ধরে এই রান্না ঘরের দেওয়ালের ওপারে আটকে ছিল রহস্য
অবশেষে হলেও রহস্য উন্মোচন
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পাইকপাড়ার এক সাধারণ বাড়ি, প্রতিদিন সকাল ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো দিন যাপন করেন তারা । শোয়ার ঘরে, ঘুমোন ,রান্নাঘরে রান্না
কোথাও নেই কোন গন্ডগোল অথচ বাড়ির গৃহকর্তা সোহারব মন্ডলের স্ত্রী বেশিরভাগ সময়টাই যেখানে কাটান সেখানেই রয়েছে গন্ডগোল । শুধু গন্ডগোলি না রয়েছে ভয়ানক বিপদের আখড়া। রান্না ঘরে বাস করে প্রায় 40 টি বিষধর সাপের বাচ্চা । সঙ্গে একটি বড় বিষধর সাপও। দীর্ঘদিন ধরে এখানেই রয়েছে তারা সহারব বাবুর স্ত্রী এর সাথে অথচ বাড়ির কেউই জানে না তা এমনকি জানেনা সোহরাব বাবুর স্ত্রী পর্যন্ত।
Byte
বিগত দু একদিন ধরে কয়েকটি ছোট ছোট সাপের বাচ্চা দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল ওই এলাকায়। এভাবে সাপের বাচ্চা দেখে আতঙ্কিত হয়ে সোহারব মন্ডলের পরিবার। এরপর তাদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় টালিখোলা এলাকার এক সাপুড়ে খেসমত মন্ডল কে। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ওই এলাকায় আসেন খেসমত মন্ডল এবং ওই রান্নাঘরটি চিহ্নিত করে মাটি খোঁড়া শুরু করতেই রীতিমত চক্ষু চরক গাছ। একের পর এক বিষধর সাপের বাচ্চা বেরিয়ে আসতে থাকে এলাকার ওই ঘর সংলগ্ন বেশ কিছুটা এলাকা জুড়ে।
Byte
কালক্রমে দেখা যায় যতই ভাঙ্গা হচ্ছে মাটি ততই ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে একাধিক বিষধর সাপের বাচ্চা। কোনটির রং কুচকুচে কালো কোনটির রং ছাই এর মত। ভাঙতে ভাঙতে গৃহস্থের সম্পূর্ণ রান্নাঘরটি ভেঙে ফেলার পর অবশেষে মোট 40 টি বাচ্চা সাব উদ্ধার করে এদিন তারা। এরপরেই কার্যত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এইটুকু স্থানের মধ্যে থেকে ৪০ সাপ কোথা থেকে এলো তাই অবাক করে সাধারণ মানুষকে । রান্নাঘরে প্রতিনিয়ত থাকতেন মহিলারা দিনের বেশিরভাগ সময়ই রান্নায় ঘরেই তো কাজ সেখানেই এত বড় বিপদ লুকিয়ে ছিল তা গুক্ষরো টের পায়নি কেউ যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারতো বড় দুর্ঘটনা এদিন সমস্ত সব উদ্ধার করার পর স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি না করার আবেদন জানানো হচ্ছে এলাকায়।
Leave a Reply