পরিবার তো নয় জানো রাজনীতির আখড়া
একই পরিবারের তৃণমূল, বিজেপি এবং কংগ্রেস প্রার্থী
দিবারাত্র একে অপরের মুখ দেখছেন তারা
একে অপরের ভালো গুণ, খারাপ গুণ সম্পর্কে রয়েছে বিস্তর ধারণা.।
একজন মশলা বাটেন তো অন্যজন কাপড় কাচেন
তিনজন যেন বাড়ির তিনটি পিলার
তারাই এবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নির্বাচনে প্রার্থী নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, কখনো দেখা গিয়েছে প্রার্থী নিজে থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর পাল্টি খেয়ে গিয়ে দল বদলেছেন । আবার কখনো দেখা গেছে দল না পাল্টালেও অন্য দলের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছে পঞ্চায়েত প্রার্থী। হাওড়া সাঁকরাইল এর সরকার পাড়ার বোস পরিবারের তিন বৌমা ই এবারের পঞ্চায়েত প্রার্থী । একজন তৃণমূল অন্যজন বিজেপি আর একজন কংগ্রেস। বাড়ির ভেতর যতই মধুর সম্পর্ক থাক বাড়ির বাইরে একে অপরকে এক চুল জমি ছাড়তে নারাজ তারা ।
ভাবতে পারছেন ? তিনজনই তিনজনের প্রতিদ্বন্দ্বী । দিবা রাত্র একে অপরকে দেখছেন তারা।প্রত্যেকটি পদক্ষেপ একে অপরের জানা। তারা জানেন একে অপরের সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো ।সেই চেনা থেকেই এবার প্রথমবার ভোটের ময়দানে নেমেছেন তিন বৌমা। একান্নবর্তী পরিবারের তিন বউমাই রাজনীতির ময়দানে। ইতিমধ্যেই তারা শুরু করেছেন প্রচার । শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন । বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হাতজোড় করে ভোট দিতে অনুরোধ করছেন তারা মানুষদের।। তিনজনের কেউই সক্রিয় রাজনীতিতে সঙ্গে কোনোদিন যুক্ত না থাকলেও গত নির্বাচনে সরকার বাড়ির বড় গৃহবধূর নির্দল হিসাবে প্রার্থী হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার তবে নিত্যদিনের রাজনীতি সেভাবে কখনো করেন নি। বরং বলা যেতে পারে, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেই তাঁদের রাজনীতিতে হাতেখড়ি।
Byte
বাড়ির গৃহস্থালীর কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনজন ই নামছেন রাস্তায়।চলছে প্রচার। তবে তিনজনের একই বক্তব্য রাজনীতির ময়দানে যে-ই জিতুক না কেন, কোনওভাবেই হিংসার রেশ তাঁদের পরিবার বা গ্রামের মানুষের মধ্যে পড়বে না বলেই আশাবাদী তিন দলেরই প্রার্থী।
Leave a Reply