পেট্রোল পাম্পে ৫টি গোপন কায়দায় ঠকানো হয় আপনাকে! পেট্রোলের বদলে দিচ্ছে
অন্য কিছু, এভাবেই ধরে ফেলুন পেট্রোল পাম্পের চিটিংবাজি!
পেট্রোল পাম্পে ৫টি গোপন কায়দায়
ঠকানো হয় আপনাকে!
বানানো হয় বোকা!
আপনারই চোখের সামনে
সামান্য চালাকি করে
কোটিপতি পেট্রোল পাম্পের মালিকেরা!
আপনার অসাবধানতা
লুফে নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা!
পেট্রোলের বদলে দিচ্ছে
অন্য কিছু!
কীভাবে বুঝবেন আপনি ঠকছেন?
৫টি টিপস মেনে ধরে ফেলুন পেট্রোল পাম্পের চিটিংবাজি!
অত্যাধিক লাভ জনক একটি পেশা পেট্রোল পাম্পের ব্যবসা। এই ব্যবসায় একটা বড় অঙ্কের লাভ হয় পেট্রোল পাম্পের মালিকদের। অনেকের কাছ থেকেই শুনে থাকবেন, পেট্রোল পাম্পের মালিকেরা নানান কৌশলে তেল চুরি করে। গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে অল্প তেল দেয়। অর্থাৎ যত লিটার তেল দেওয়ার কথা, তার থেকেও কম তেল দেওয়া হয় পেট্রোল পাম্পগুলোতে। গ্রাহকের চোখে ধুলো দিয়ে নানান কায়দায় তারা এই কাজটি করে থাকেন। এভাবেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে পেট্রোল পাম্পের মালিকেরা। পেট্রোল পাম্পের এই চালাকি কোনও গ্রাহক খালি চোখে ধরতে পারবে না। কীভাবে এই প্রতারণার কাজটি হয়ে থাকে, এর জন্য ৫টি টিপস রয়েছে। পেট্রোল পাম্পে গিয়ে এগুলো লক্ষ্য করলেই বুঝবেন আপনাকে ঠকানো হচ্ছে। এক নজরে দেখুন টিপসগুলো কি কি-
এক, লম্বা পাইপঃ অনেক সময় পেট্রোল পাম্পে তেল দেওয়ার পাইপটি অনেক লম্বা ও চওড়া থাকে। পাইপের আকৃতি এমন রাখার পেছনেও রয়েছে কারসাজি। পেট্রোল পাম্পে পাইপের আকৃতি যত লম্বা ও চওড়া হবে তত বেশি তেল চুরি করা যাবে। কীভাবে হয় অসাধু কাজটি? আপনি যত পরিমাণ তেল চাইবেন, ততটাই দেবে। কিন্তু পাইপ লম্বা ও চওড়া হওয়ায় অনেকটা তেল রয়ে যাবে। এখানেই কোটি টাকর খেলা খেলে পেট্রোল পাম্পের মালিকেরা।
দুই, মাঝ পথে রিডিং বন্ধ করে দেওয়াঃ এই দৃশ্য হর হামেশাই দেখা যায়। অনেক সময় পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে গেলে, অন্য মনস্কতার ভান করে মাঝ পথে রিডিং বন্ধ করে দেয় কর্মচারীরা। এর পর আবার চালু করে। এটাও একটা ট্র্যাপ। এর মাধ্যমেও তেল চুরির একটি রাস্তা তৈরি করে পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। এমন কাণ্ড ঘটলেই সবাধান হন।
তিন, ফিলিং পাইপের সুইচ নামিয়ে ফেলাঃ অনেক পেট্রোল পাম্পেই দেখা যায় তেল নেওয়া সময় বার বার ফিলিং পাইপের সুইচ নামিয়ে ফেলছে দায়িত্ব কর্মী। এমনটা হলেই সতর্ক হন। ফিলিং পাইপের সুইচ নামিয়ে ফেলা হলে আপনি কখনই আপনার নায্য মূল্যের তেল পাবেন না। প্রয়োজন হলে আইনি পদক্ষেপ নিন।
চার, তেলে ভেজাল মিশিয়ে দেওয়াঃ অনেক অসাধু পেট্রোল ব্যবসায়ী পেট্রোলের সঙ্গে ন্যাপথা নামক এক ধরনের ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করে থাকেন। পেট্রোল আর ন্যাপথার ঘনত্ব একই রকম হওয়ায় গ্রাহক সেটি ধরতে পারে না। এক্ষেত্রে সন্দেহ হলে আপনি আপনার গাড়ির পেট্রোলের সত্যতা যাচাই করতে পারেন। সেই ব্যবস্থাও থাকে পেট্রোল পাম্পে।
পাঁচ,ইলেকট্রনিক চিপ তেল চুরিঃ তেল চুরির অনেকগুলো পদ্ধতির মধ্যে একটি হল ইলেকট্রনিক চিপ লাগিয়ে তেল চুরি। অসাধু পেট্রোল পাম্পে এভাবেও তেল চুরি করা হয়। কীভাবে কাজ করে ইলেকট্রনিক চিপ? এে ইলেকট্রনিক চিপ লাগিয়ে মিটার রিডিং ইচ্ছে মতো বাড়িয়ে দেওয়া যায়। ফলে গ্রাহক মনে করবে নায্য মূল্যের তেল দেওয়া হচ্ছে। আসলে বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে। এভাবেই গ্রাহককে সম্পূর্ণ ঠকানো হয়।
Leave a Reply