ভারতের একটি মাত্র চালে হাঁ হুতাশ শুরু চিনে! ভেঙে চুরমার সমস্ত স্বপ্ন, হাতছাড়া বিশ্বজয়ী খেতাব, কি করল ভারত?
ভারতের একটি মাত্র চালে
হাঁ হুতাশ শুরু চিনে!
ভেঙে চুরমার সমস্ত স্বপ্ন!
নিমেষে হাতছাড়া বিশ্বজয়ী খেতাব!
চিন তো দূর গোটা দুনিয়ার
ঘাম ছোটাল ইণ্ডিয়া!
বানাল এমন সুড়ঙ্গ
যা দেখে থ বিশ্ববাসী!
কি আছে সেই সুড়ঙ্গে?
কেন এত হৈ চৈ!
এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের বুকে ভারত যে সমস্ত কাণ্ড কীর্তি ঘটাচ্ছে, তা দেখে ঘুম উড়ছে বড় বড় দেশগুলোর। প্রতিটি সেক্টরে বাজিমাত দিচ্ছে আমাদের দেশ। কেড়ে নিচ্ছে বড় বড় স্বীকৃতি। গড়ছে নতুন নতুন রেকর্ড। এবার সব কিছুকে ছাপিয়ে আরও বড় উদ্যোগে সামিল হল ভারত। যা শুনে ও ভেবে কেঁদে কূল কিনারা পাচ্ছে না চিন। চোখে সর্ষে ফুল দেখছে ড্রাগনের দেশ। ইতিমধ্যেই ঘাম ঝড়তে শুরু করেছে চায়নাদের। ভারতের এই পদক্ষেপে হাতছাড়া হতে চলেছে চিনের আরও একটি খেতাব।
ঠিক কি করতে চলেছে ভারত?
এবার ভারত তৈরি করতে চলেছে বিশেষ দুটি সুড়ঙ্গ । যা বিশ্বের কোনও দেশে নেই। যা দেখলে চমকে উঠবে বিশ্বের বড় বড় দেশ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সুড়ঙ্গ দুটির নির্মাণ কাজ। তবে পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। মুম্বাই-পুনে এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মিত হচ্ছে এই সুড়ঙ্গ দুটি।
কেমন দেখতে হবে সুড়ঙ্গ দুটি?
সুড়ঙ্গ দুটির মধ্যে একটির দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয়টির দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক ৯২ কিলোমিটার। দুটি সুড়ঙ্গের প্রস্থ ২৩ মিটারেরও বেশি। এই দুটি সুড়ঙ্গ হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গ। সুড়ঙ্গ দুটির মধ্যে ৪টি লেন থাকবে।
কীভাবে নির্মিত হচ্ছে সুড়ঙ্গটি?
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত হচ্ছে এই সুড়ঙ্গ দুটি। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই সুড়ঙ্গ দুটি বাঁকানো পথে নির্মিত হচ্ছে। যা এক কথায় অসাধ্য ব্যাপার। এই অসাধ্যকেই সাধ্য করে দেখাতে চলেছেন ভারতের ইঞ্জিনিয়াররা। সুড়ঙ্গটি ভিতর প্রতি ৩০০ মিটারে এক্সিট পয়েন্ট রাখা হচ্ছে। আগুন প্রতিরোধ করতে ওয়াটার মিক্স সিস্টেম স্থাপন রাখা হচ্ছে। প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সুড়ঙ্গ দুটির মোট নির্মাণ খরচ ধার্য হয়েছে ৬,৬৯৫ কোটি টাকা।
সুড়ঙ্গ দুটি নির্মিত হলে কারা উপকৃত হবে?
সুড়ঙ্গ দুটি নির্মিত হলে ভারতীয়রা খুবই উপকৃত হবে। সুড়ঙ্গ দুটির হাত ধরে কমে যাবে মুম্বাই-পুনের মধ্যে থাকা দূরত্ব। প্রায় আধ ঘন্টার দূরত্ব মুছে যাবে। খোপোলি এবং সিংহগড় ইনস্টিটিউটের মধ্যে ১৯ কিলোমিটারের দূরত্ব কমে ১৩.৩ কিলোমিটার হয়ে যাব। সময় বাঁচবে। যাতায়াতের খরচ কমবে। যানজট লাঘব হবে। সড়ক দুর্ঘটনা কমবে।
সুড়ঙ্গ দুটি নির্মিত হলে চিনের কি ক্ষতি হবে?
ভারতের এই সুড়ঙ্গ দুটি নির্মিত হলেই বিশ্বের সবচেয়ে চওড়া সুড়ঙ্গের খেতাব হাতছাড়া হবে চিনের। কারণ ভারতের আগে বিশ্বের সবচেয়ে চওড়া সুড়ঙ্গটি রয়েছে চিনে। চিনের সুড়ঙ্গটি চওড়ায় ১৩.৭ মিটার। দৈর্ঘ্য ১৬.৬২ কিমি। চিনের এই সুড়ঙ্গটি ইয়াংজি নদীর তলদেশ দিয়ে গিয়েছে।
Leave a Reply