মেয়ের প্রথমবার মাসিক হওয়ায় কেক কেটে উদযাপন করলেন বাবা! দিলেন সচেতনতার বার্তা

মেয়ের প্রথমবার মাসিক হওয়ায় কেক কেটে উদযাপন করলেন বাবা! দিলেন সচেতনতার বার্তা

মেয়ের প্রথমবার মাসিক হওয়ায়
কেক কাটলেন বাবা!

ভাঙলেন যাবতীয় ট্যাবু!
গুঁড়িয়ে দিলেন কুসংস্কার!

জনসমক্ষে দিলেন
গুরুত্বপূর্ণ বার্তা!

কোথায় ঘটল
এমন ঘটনা?

দেওয়াল জুড়ে বেলুন। বাড়িময় উৎসবের মেজাজ। সামিল হয়েছে বন্ধু বান্ধব থেকে পাড়া প্রতিবেশী। টেবিলে রাখা লাল রঙের কেক। নাহ এ কোনও জন্মদিন বা বিবাহ বার্ষিকী নয়। মেয়ের প্রথমবার মাসিক হওয়ায় এভাবেই উদযাপন করলেন এক বাবা। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। এমনই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকল উত্তরাখণ্ডের উধমসিংহ নগরের কাশীপুর সিটি। সেখানকার বাসিন্দা জিতেন্দ্র ভট্ট , যিনি হৈ চৈ করে মেয়ের ঋতুস্রাব পালন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন – মাসিক কোনও অসুখ নয়। মাসিক আসলে আনন্দের দিন। মাসিকের মধ্যে দিয়েই একটি বালিকা, যুবতীতে পরিণত হয়। এই সময় নারীদের মা হওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা বিকশিত হয়। তাই জিতেন্দ্র ভট্টের মতে, মাসিক বিষয়টিকে নিয়ে ছুৎমার্গ না রেখে বরং একে সেলিব্রেট করা উচিত। মাসিক মানেই নতুনের সূচনা।

তাই তো প্রথম ঋতুস্রাবের দিনটিকে স্মরণীয় করতে কেক, ফুল উপহারে ভরিয়ে দিয়েছেন নিজের রাজকুমারীকে। কন্যাকে ভালোবাসায় রাঙ্গিয়ে দিয়েছেন এই পিতা। লাল রঙের কেকের উপরে লিখেছেন হ্যাপি পিরিয়ডস রাগিনী। যেখানে ঋতুস্রাব শব্দটি আজও ফিসফাস করে বলা হয়, জনসমক্ষে শব্দটি উচ্চারণ করাও বারণ, সেখানে দাঁড়িয়ে জিতেন্দ্র ভট্টর এই পদক্ষেপ একেবারেই ব্যতিক্রম। এই ঘটনা সমাজের কুসংস্কার, ট্যাবুর প্রতি ধিক্কার। আজও মাসিক হলে মেয়েদের উপর নানা রকম বাঁধা নিষেধ চাপিয়ে দেয় সমাজ। পুজো দিতে না পারা, মন্দিরে না যাওয়া, আমিষ না খাওয়া নানান রকম নিষেধাজ্ঞা। সেখানে ,এক নতুন আলোকবার্তা বয়ে আনল জিতেন্দ্র ভট্টর এই উদ্যোগ। এভাবেই প্রতিটি ঘরে ঘরে ভাঙতে হবে মেয়েদের নিয়ে তৈরি হওয়া যাবতীয় ট্যাবু। আর তাই প্রত্যেক পিতাকেই রাখতে হবে জিতেন্দ্রের মতন মানসিকতা। তবেই ভারতের প্রতিটা মেয়ে হয়ে উঠবে এক একটি রাগিণী।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *