মমতার ভাষণ পাত্তাই দিল না! ২১ শে জুলাই, ধর্মতলা ছেড়ে ইকো পার্কে তৃণমূল কর্মীরা, প্রকাশ্যে ভয়ংকর তাণ্ডব
মমতার ভাষণ পাত্তাই দিল না!
২১ শে জুলাই, ধর্মতলা ছেড়ে
ইকো পার্কে তৃণমূল কর্মীরা!
চুটিয়ে পিকনিক, সঙ্গে ডিজে!
শহরজুড়ে তৃণমূলীদের দাদাগিরি!
প্রকাশ্যে ভয়ংকর তাণ্ডব!
ডিমভাত খেয়েই হইচই এর মেজাজে দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। পেটে গরম গরম সাদা ভাত আর ডিমের ঝোল পড়তেই আর যাই কোথায়! পেট পুজো সেরেই ধর্মতলার শহিদ সমাবেশে বাদ দিয়ে, দলে দলে ঘাসফুল সমর্থকরা ঢুকে পড়ে ইকো পার্কে। জেলা থেকে শহরে এসেছেন, মহানগরীর সুন্দর এই পার্কটি একনজর না দেখলে চলে! তাই তো মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে তৈরি ইকো পার্ক দেখতে ভিড় করেন দূর দুরান্ত থেকে আসা কর্মী সমর্থকেরা। কার্যত এমন দৃশ্যই ধরা পড়ল মমতার শহীদ সমাবেশের দিন।
মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক, সায়নী এদের মত নেতা নেত্রীরা মঞ্চে উঠে যখন ভাষণ দেন, তখন এক শ্রেণীর কর্মী সমর্থকেরা শহর পরিদর্শনে মগ্ন। সহজ ভাবে বললে শহীদ সমাবেশের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য ফেলে মমতার ভক্তরা একেবারে পিকনিকের মেজাজে। শুধুই কি ইকো পার্ক! তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা হৈ হট্টগোল ফেলে দেয় নিউটাউন রামমন্দির চত্বর, বিশ্ব বাংলা গেট , চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল চত্বর সহ শহরের আনাচে কানাচে। যে যেখানে পেরেছে হাতা, কুন্তি বার করে আগুন জ্বালিয়ে রীতিমত পিকনিক শুরু করে দেয়। কোথাও কোথাও আবার উচ্চ স্বরে বাজে ডিজে। এখানেও থামেনি। এদের মধ্যে অনেকে, অনৈতিকভাবে দর্শনীয় স্থানে ঢুকে পড়ে। যেমন, কেউ কেউ বিনা টিকিটে গায়ের জোরে ইকো পার্কের মত স্বনামধন্য স্থানে ঢুকে পড়ে। যেখানে টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। ধস্তা ধস্তি করে, গায়ের জোর খাটিয়ে পার্কের ভেতরে চলে যায়। তাদের দাবি-
“শহিদ দিবস তাই দিদি সবকিছু ফ্রি করে দিয়েছেন।”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত ব্যর্থ হন সিকিউরিটি গার্ড থেকে দায়িত্বরত কর্মীবৃন্দরা। তবে অনেকেই লাইন দিয়ে টিকিট কেটেও ঢুকেছেন। সব মিলিয়ে কর্মী সমর্থকদের এমন বিশৃঙ্খল আচরণ দেখে হতবাক পথচলতি সাধারণ মানুষ। এমনকি এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি দলের কর্মীরাও। এই সব কীর্তি দেখে একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, তবে কি তারা মমতার ডাকে ধর্মতলায় আসেনি? নাকি জোর করে তাদের আনা হয়েছে সভার জনসংখ্যা বাড়াতে?
Leave a Reply