শুভেন্দুর দুয়ারে মারাত্মক বিপদ! এখন থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যাবে, লাগবে না আদালতের অনুমতি
শুভেন্দুর দুয়ারে
মারাত্মক বিপদ!
সুখের দিন শেষ!
কপালজুড়ে শনির দশা!
হারিয়েছেন রক্ষাকবচ!
আর নেই ক্ষমতা!
দিশেহারা দলনেতা!
এখন থেকেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে
করা যাবে এফআইআর!
একশন নিতে পারবে পুলিশ!
লাগবে না আদালতের অনুমতি
তথ্য প্রমাণ থাকলেই
ঢোকানো যাবে জেলে!
রাজ্যের শাসক দলকে কোনঠাসা করতে সর্বদা প্রস্তুত শুভেন্দু অধিকারী। বঙ্গ রাজনীতিতে যে কটা দুর্নীতি ইস্যু উঠে এসেছে, প্রত্যেকটাতেই রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন তিনি। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই, চোখে পড়ার মত ছিল শুভেন্দুর প্রত্যেকটি পদক্ষেপ। সেই শুভেন্দু অধিকারীই এখন মহাফ্যাসাদে। আদালতের একটি মাত্র পদক্ষেপ ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে বিরোধী দলনেতার। ঠিক কি ঘটেছে?
গত বছর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুভেন্দু অধিকারীকে একটি রক্ষা কবচ দেয়। এই রক্ষা কবচের শক্তি শুভেন্দুকে এফআইআর এর হাত থেকে রক্ষা করা। এই রক্ষা কবচ দেওয়ার কারণ গত বছরেই, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের মোট ২৬টি মামলা দায়ের হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে, আদালতের যুক্তি,
‘শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে।’
সেই সময় দাড়িয়ে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা স্পষ্ট করে বলেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আর কোনও প্রকার এফআইআর করা যাবে না। তখনই রক্ষা কবচটি দেয় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এবার সেই রক্ষা কবচই খারিজ করে দিলেন, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরী। তারা জানিয়ে দিয়েছেন এবার থেকে সঠিক, যুক্তিযুক্ত তথ্য প্রমাণ থাকলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অবশ্যই এফআইআর করা যাবে। এক্ষেত্রে যদি অভিযোগ সত্য এবং প্রমাণিত হয় তা হলে পুলিশ এফআইআর করতে পারবে। কিন্তু গ্রেফতার বা কড়া পদক্ষেপ করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। সুমন সিংহের করা জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। তথ্য সূত্রে জানা যাচ্ছে, চার সপ্তাহ পরে এই মামলার আবার শুনানি রয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী রক্ষা কবচের মেয়াদ শেষ হওয়ায়, বেজায় খুশি শাসক শিবির। কিছুদিন আগেও শুভেন্দুর রক্ষা কবচ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক ব্যানার্জি। বিচারপতি মান্থাকে নিশানা করেন বলেন-
‘এই একজন বিচারপতি শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছেন। ভবিষ্যতে তিনি কোনও অপকর্ম করলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না! এফআইআর করা যাবে না!’
সেই সাথে প্রশ্ন ছোড়েন-
‘আমি যদি প্রোটেকশন চাইতে যাই, আমায় দেবেন? খালি শুভেন্দু অধিকারীর ছত্রছায়ায় থাকা নেতাদের প্রোটেকশন দেওয়া হচ্ছে।’
( ভয়েস ও টেক্সট দুটোতেই যাবে) ——— ( এটা ভালো করে লেখাতেও দেখাবে। ভুলেও মিস করবে না)
সুপ্রিয় দর্শক, ভিডিওতে বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে তুলে ধরা প্রত্যেকটি শব্দ ও বাক্য বাংলা হান্টের নিজস্ব মতামত নয়।
বাংলা হান্টের প্রধান সম্পাদক, সম্পাদক এবং আমাদের সমগ্র সংবাদ কর্মীদের, বিচারব্যবস্থার প্রতি এবং মাননীয় বিচারপতিদের প্রতি আস্থা, শ্রদ্ধা অটুট এবং অসীম। সম্মাননীয় দর্শক বা সংশ্লিষ্ট অন্য কেউ এই প্রতিবেদনকে কোনও ভাবেই যেন বিচারব্যবস্থা এবং বিচারপতিদের সম্পর্কে অশোভন মন্তব্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অনুমোদন কিংবা সমর্থন হিসেবে বিবেচনা না করেন। )
Leave a Reply