বিশ্বজুড়ে এত ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে কেন? ধবংসের সবে শুরু, বিজ্ঞানীরা যা জানালেন শুনলেই ঘুম উড়বে

বিশ্বজুড়ে এত ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে কেন? ধবংসের সবে শুরু, বিজ্ঞানীরা যা জানালেন শুনলেই ঘুম উড়বে

হঠাৎ করে বিশ্বজুড়ে
এত ভয়াবহ বন্যা হচ্ছে কেন?

চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করলো
বিজ্ঞানী মহল

২০৫০ সালে চরম ক্ষতিগ্রস্থ
হবে ৫০ টির বেশী দেশ

ছাড় পাবে না ভারতও
সামনেই রয়েছে বড় বিপদ !

ধ্বংসের সবে শুরু
বলছে বিজ্ঞানি মহল

পাহাড় থেকে নেমে আসা কাদা মাটি, জলের স্রোতে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ছে বাড়িঘর, দোকান পাট। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে রাস্তা ঘাট। ফুঁসছে পাহাড়ি নদী! প্রবল বৃষ্টিতে নদী গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে শহরের পর শহর। ভয়ঙ্কর বন্যার কবলে গোটা উত্তর ভারত। লণ্ডভণ্ড হিমাচল। নীরব দর্শক হয়ে ধবংসের তাণ্ডবলীলা দেখা ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তির কোনও উপায় নেই। এই ধবংসলীলা কেবল ভারত নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে এহেন দুর্যোগ। গত বছর পাকিস্তানও দেখেছে প্রাণঘাতীর বন্যার রুপ। ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বহু মানুষ। হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। নিউ ইয়র্ক থেকে জাপান বন্যার কবলে বিশ্বের একাধিক দেশ। পৃথিবীর বুকে কেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে আসছে! ব্যাখা দিলেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। যা শোনালেন তা খুবই মর্মান্তিক।

২০১১ সালে হ্যারিকেন আয়রিন তছনছ করে দিয়েছিল নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন স্থান। ধবংসের সেই স্মৃতি ভোলার মত নয়। ২০১১ সালের ভয়াবহ বন্যায় লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল উত্তরাখণ্ড। মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বাণে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল কেদার নাথ এবং কেদারনাথ সংলগ্ন বিশাল অঞ্চল। সরকারি হিসেব অনুযায়ী প্রাণ হারায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ। তারপর দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল কেদারনাথ মন্দির। এবছর ফের বন্যার তাণ্ডব শুরু হয়েছে হিমাচলের উত্তরাখণ্ডে। হিমাচলের অবস্থা খুবই শোচনীয়। শুধু হিমাচলের বন্যায় প্রাণ হারিয়েছে ৮০ জন। উত্তর ভারত জুড়ে বন্যার বলি শতাধিক। এই বছর জাপানেও ভয়ংকর বন্যা হয়েছে। পাকিস্তানে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বন্যার রুপ ধারণ হয়েছে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রকৃতির এমন নির্মম রোষের কারণই হল জলবায়ুর বদল এবং মানুষের তৈরি এই দূষণ। পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইড , মিথেন বাড়ছে। গ্রীন হাউস গ্যাসের বাড় বাড়ন্ত বাড়ছে। দগ্ধ হচ্ছে বায়ুমণ্ডল, বাড়ছে তাপমাত্রা। সেই গরম হাওয়া মেঘ হয়ে বিপুল বৃষ্টি নামাচ্ছে। তার তীব্রতা এতটাই যে বন্যার কারণ হয়ে দদাঁড়াচ্ছে। কেন এত বন্যা হচ্ছে!

উষ্ণায়ন কাউকে রেয়াত করে না। ২০৫০ সাল ভারতের পক্ষে উষ্ণায়নের প্রেক্ষিতে একটি মাইলফলক হতে চলেছে। কারণ সমীক্ষা বলছে, উষ্ণায়নের কারণে ২০৫০ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে ৫০ টি দেশ সব থেক বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে তাদের মধ্যে ক্ষতির অঙ্কে ভারত থাকবে ২য়তে। এই ক্ষতি কতটা এড়ানো যাবে তা বলা মুশকিল। বিশ্বের বিভিন্ন শহরের আবাহাওয়ার গতি প্রকৃতি বদলাচ্ছে। এর প্রধান কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন। সমদ্রু পৃষ্টের তাপমাত্রা বাড়ছে। সমুদ্রের জলের তাপমাত্রাও বাড়ছে। মেরু প্রদেশে বরফ গলছে। কাজেই এর ভয়ঙ্কর প্রভাব দেখা দিচ্ছে। গত ৫০ বছরে মেরু প্রদেশের তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গরম হাওয়া অনেক্ষণ থমকে থাকছে পরিবেশে। আগে গরম ও শীতল হাওয়ার অদল বদল হত। গরম হাওয়া উপরে উঠে গেলে, তার জায়গায় বইত শীতল হাওয়া। কিন্তু এখন গরম হাওয়াই আটকে পড়ছে পরিবেশে। যে কারণে পরিবেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেওয়া ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিও ক্রমাগত বাড়ছে। আর এর পেছনে কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা দায়ী করছেন সমুদ্র পৃষ্টের তাপমাত্রাকে। তথ্য বলছে সমুদ্র পৃষ্টের তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রীতে পৌঁছালেই ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। আর বিধ্বংসী ঝড় গুলোর পেছনে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের ক্রমাগত বাড়তে থাকা তাপমাত্রা। যা গড়ে ৩২ থেকে ৩৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে।

ব্যুরো রিপোর্ট বাংলা হান্ট।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *