রামকৃষ্ণকে ভয়ংকর অপমান, স্বামী বিবেকান্দন্দে চরম কটাক্ষ! কে এই অমোঘ লীলা প্রভু? কি ভাবে এলেন সন্ন্যাসে?

রামকৃষ্ণকে ভয়ংকর অপমান, স্বামী বিবেকান্দন্দে চরম কটাক্ষ! কে এই অমোঘ লীলা প্রভু? কি ভাবে এলেন সন্ন্যাসে?

রামকৃষ্ণকে ভয়ংকর অপমান!
স্বামী বিবেকান্দন্দে চরম কটাক্ষ!

যতমত তত পথের ভুলভাল ব্যাখা!
মাছ খাওয়া নিয়ে স্বামীজিকে তাচ্ছিল্য!

কে এই অমোঘ লীলা প্রভু?
যার হাতে আক্রান্ত
বাঙালীর দুই অবতার!

ইঞ্জিনিয়ার থেকে আস্ত সন্ন্যাসী
কেন বদলালেন নাম-ধাম?

কঠোর শাস্তির মুখে ইসকন সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা প্রভু। বাঙালীর আরাধ্য শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দকে কটাক্ষ করে পড়েছেন জনরোষের কবলে। এক মাসের জন্য সাসপেন্ড। পাঠানো হয়েছে বৃন্দাবনে। জনসমক্ষে দিতে পারবেন না ধর্মীয় লেকচার। ভক্তদের হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য ও ইসকনের ভূমিকা বোঝাতে গিয়েই আঘাত করে বসেন রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দের মতাদর্শকে। রামকৃষ্ণের ‘যত মত তত পথ’ বাণীটির এমন ব্যখা দিয়েছেন যা শুনে চটে লাল রামকৃষ্ণের ভক্তেরা। একই সাথে বিবেকানন্দের মাছ খাওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে, বিবেকানন্দের পবিত্রতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সব মিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু অমোঘ প্রভু।

সকলের কাছেই তিনি ইসকন সন্ন্যাসী নামে খ্যাত। ধর্মীয় বক্তৃতার জেরে প্রায়শই চর্চায় থাকেন তিনি। তবে প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। আসল নাম আশিস অরোরা। লখনউয়ের ধর্মপ্রাণ হিন্দু পরিবারে জন্ম। আধ্যাত্মিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা। ছোট বেলা থেকেই অসম্ভব মেধাবী। সেই সাথেই ছিলেন ধর্মীয় মনস্ক। উচ্চ মাধ্যমিকের পর ভগবানকে খুঁজতে বাড়ি ছাড়েন। এরপর আবার ফিরেও আসেন। মন দিয়ে শুরু করেন পড়াশুনো। ২০০৪ সালে সম্মানের সাথে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। এরপর ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজে যোগ দেন। মোটা টাকার স্যালারি। তবে ৬ বছর কাজ করে কর্পোরেট দুনিয়া থেকে মন উঠে যায় আশিষের। এরপর মনকে স্থির করে চলে আসেন ইসকনে। পরিবার, পরিজন ছেড়ে হয়ে ওঠেন, আগা গোঁড়া সন্ন্যাসী। শুরু করেন ব্রহ্মচর্য নেন,বাবা মায়ের দেওয়া নাম ছেড়ে হয়ে ওঠেন অমোঘ লীলা দাস। তুখোড় বক্তা হওয়ায় অল্প সময়ে পেয়ে যান জনপ্রিয়তা। সুন্দর ও সহজভাবে ধর্মীয় ব্যাখা দিতে ওস্তাদ তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ১৩ হাজারের বেশি ফলোয়ার রয়েছে অমোঘ লীলা প্রভুর। তাঁর ধর্মী বক্তৃতার ভিডিও মাঝে মাঝেই বেশ ভাইরাল হয়। দীর্ঘ দিন দিল্লির দ্বারকাতে ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলান। ইসকনের এই সন্ন্যাসী, মাছ মাংসের ঘোর বিরোধী! বর্তমানে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ১ মাসের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন। ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *