আওয়ামী লীগের হাতে আক্রান্ত বাংলাদেশের হিরো আলম! ঠিক কি ঘটেছে? প্রকাশ্যে মর্মান্তিক দৃশ্য

আওয়ামী লীগের হাতে আক্রান্ত বাংলাদেশের হিরো আলম! ঠিক কি ঘটেছে? প্রকাশ্যে মর্মান্তিক দৃশ্য

আওয়ামী লীগের হাতে আক্রান্ত
বাংলাদেশের হিরো আলম!

ভোটের প্রচারে
বেধড়ক প্রহার!

প্রকাশ্যে ধুমাধুম কিল!
নাকে, বুকে পদাঘাত!

ভেঙে পড়েন কান্নায়!
শয্যাশায়ী হাসপাতালে!

ঠিক কি ঘটেছে?
প্রকাশ্যে মর্মান্তিক দৃশ্য!

হিরো আলম নামেই যার পরিচয়। তাঁকে একনামে চেনে ভারত বাংলাদেশ। দু দেশেই সমান জনপ্রিয়। গান থেকে অভিনয় সবেতেই পারদর্শী। এই সবের পাশাপাশি, জনসেবাতেই আগ্রহী। তাই তো দাঁড়িয়েছেন নির্বাচনে। কিন্তু জনসেবা করার সুখ বোধ হয় তার কপালে নেই। জনগণকে সেবা দিতে গিয়েই নিজেই পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে খেলেন বেধড়ক উত্তম মধ্যম। পিঠে ধুমাধুম করে পড়ল জনতার চরম ভালোবাসা। টেনে হিঁচড়ে, মাটিতে ফেলে হাত মুষ্টি করেই হিরো আলমের উপর চলল গণধোলাই। এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন ওপার বাংলার আলোচিত তারকা হিরো আলম।

ঠিক কি ঘটেছে?

চলতি বছর নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন অভিনেতা হিরো আলম। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোময়ন জমা দিয়েছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। নিজের প্রচারে ব্যস্ত অভিনেতা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চালাচ্ছেন প্রচার কাজ। তেমনি প্রচার কাজের উদ্দেশ্যে যান ঢাকার মহাখালীর সাততলা বস্তিতে। সেখানে গিয়েই চরম শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হন তিনি। ওই এলাকার বাসিন্দারা রীতিমত হিরো আলমের উপর চড়াও হন।

হিরো আলমের দাবি, নির্বাচনী প্রচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা সংলগ্ন মহাখালীর সাততলা বস্তিতে যেতেই তার উপর হামলে পড়ে একদল মহিলা। প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন হবে। ওই নারী বাহিনী হিরো আলমের পথ আটকায়। কিন্তু হিরো আলম বাঁধা এড়িয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তার গায়ে হাত তোলা হয়। মুহূর্তেই চারপাশে এলাকার বাসিন্দা পরচিয় দিয়ে আরও অনেকেই জড়ো হতে শুরু করেন। তারাও আচমকা হিরো আলমকে ঘিরে ধরে বেধড়ক প্রহার করতে শুরু করেন। ভিড়ের মধ্যেই কেউ কেউ হিরো আলমকে ‘টিকটকার’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। আবার কেউ কেউ তাঁকে উত্তম মধ্যম দিতে দিতেই বলেন, হিরো আলম এমপি ইলেকশনের কী বোঝেন? তাঁর কী যোগ্যতা আছে এমপি ইলেকশন করার? এক পর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে, তাদের হাত থেকে বাঁচতে দৌড়ে পালান হিরো আলম। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই ঘটনা খুলে বলেন।

হিরো আলমের জানান আক্রমণকারিদের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বলে অভিহিত করেছেন। অভিনেতা বলেন,

‘সাততলা বস্তি এলাকায় জনসংযোগের সময় আমার ওপর নারী বাহিনী দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এই হামলা প্রমাণ করেছে নির্বাচন কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না’

ঘটনায় রীতিমত কান্না করতে দেখা গেছে হিরো আলমকে। বর্তমানে হাসপাতালে শয্যাশায়ী। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও জনসেবা করতে গিয়ে, জনরোষের কবলে পড়েছেন হিরো আলম। তবুও বুক ফুলিয়ে মাঠে নেমেছেন সাহসি হিরো আলম।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *