৭ বছরে মোটা থেকে স্লিম অভিষেক ব্যানার্জি! যুবরাজের ডায়েট প্ল্যানই বা কি? কীভাবে করেন রুপচর্চা?

৭ বছরে মোটা থেকে স্লিম অভিষেক ব্যানার্জি! যুবরাজের ডায়েট প্ল্যানই বা কি? কীভাবে করেন রুপচর্চা?

কীভাবে মোটা থেকে রোগা হলেন
অভিষেক ব্যানার্জি?

ওজন ঝরিয়ে, চর্বি কমিয়ে
ছিম ছিমে পাতলা!

টান টান ত্বক!
উপচে পড়ে জেল্লা!
নেই বয়সের ছাপ!

মাত্র ৭ বছরে
বিরাট বদল!

অভিষেকের ডায়েট প্ল্যানই বা কি?
কীভাবে করেন রুপচর্চা?

অভিষেক ব্যানার্জি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড! রাজনীতি নিয়ে যতটা সচেতন ঠিক ততটাই সচেতন স্বাস্থ্য নিয়ে। নিয়মতি ব্যায়াম চর্চা, পরিমিত খাবার অর্থাৎ ডায়েটে অনেকটাই মনোযোগী অভিষেক ব্যানার্জি। অনেকেরই জানতে ইচ্ছে করে, অভিষেকের ডায়েট প্ল্যান কি! এত দৌড় ঝাপের পরেও কীভাবে এত ফিট। রাজনীতির প্রথম দিকের অভিষেক আর আজকের অভিষেকের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক! কোনও মিল নেই। বরং সময়ের সাথে বয়স যেন কমছে যুবনেতার। অভিষেকের আগের ও বর্তমান সময়ের ছবি মেলালেই বুঝতে পারবেন বিরাট একটা পার্থক্য।

২০১১ সালেই পিসির হাত ধরে রাজনীতিতে আগমন অভিষেকের। সেই সময় বয়স অনেক অল্প। স্বাস্থ্যবান যুবক। তারুণ্যে ভরপুর। চোখে চশমা। মুখে কোনও দাড়ি নেই। ক্লিন সেভ। বরাবর গোঁফ, দাড়ি কামিয়ে রাখেন তিনি। তবে সেই সময় অভিষেকের যতটা ওজন ছিল, সময়ের সাথে সেই ওজন ঝরতে থাকে। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অভিষেক কি ধরনের ডায়েট অনুরসরণ করেছেন সেই সম্পর্কে লিখিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজ্য রাজনীতিতে অভিষেকের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়টি নিয়ে অনেক কানাঘুষো শোনা যায়। মনে করা হয়, নিজেকে ফিট রাখতে যথেষ্ট সচেতন হয়ে ওঠেন অভিষেক। সেই থেকেই শুরু। পরিমিত আহার, সুষম খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলেন টিএমসি যুবরাজ। ওজন এক সময় অধিক হয়ে যাওয়ায় খাবারে লাগাম টানেন। ফলে ওজন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। যে পরিমাণ ওজন তিনি কমিয়েছেন তাতে পরিষ্কার যে, ভাতের পরিবর্তে রুটি খেতেন। পাতে শাক, সবজি, ডাল এই জাতীয় খাবার অধিক রাখতেন। রাতে বেশ অল্পই খেতেন। খাবারের পাশাপাশি তিনি শরীর চর্চাতেও সময় দিতেন। ২০১৭ সালে অন্য অভিষেককে দেখতে বঙ্গবাসী। ওজন ঝরিয়ে একেবারে ছিপছিপে তরুণ। সেই সময় থেকেই তিনি নিয়মিত নির্দিষ্ট রুটিন ফলো করেন। তবে বর্তমানে ডায়েট ও শরীর চর্চায় আরও বেশি পরিবর্তন ও সংশোধন ঘটিয়েছেন। এখন সকাল বিকেল উভয় বেলাতেই, শাক সবজি ও আমিষের ভারসাম্য রাখেন। ওজন যেমন ঝরিয়েছেন, তেমনি অন্যদিকে বাড়িয়েছেন গ্ল্যামার। লক্ষ্য করলেই দেখবেন, অভিষেকের ত্বকের জেল্লা আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে। আগে তেমন চকচক করত না গায়ের রং। বর্তমানে অভিষেকের ফেস গ্লো, সারা শরীরের পিগমেণ্টেশন মাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। যা রীতিমত চোখে লাগার মত। সাধারণত নেতা নেত্রীরা সভা মিছিলে ঘুরে বেড়ায়। রোদের সংস্পর্শে তাদের গায়ের রং কালো হয়ে যায়। টেন পড়ে। কিন্তু অভিষেকের ক্ষেত্রে এমনটা লক্ষ্য করা যায় না। অথচ তিনিও সভায়, সমাবেশে দৌড়ে বেড়ান। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটেও টানা ৫১ দিন জেলায় জেলায়, রোদে রোদে ঘুরেছেন। অথচ গায়ের রং আগের মতই। একটা সান টেন পর্যন্ত নেই। এখান থেকে বলাই যায়, এর পেছনে রয়েছে উপযুক্ত ব্যায়বহুল রুপ চর্চা। যা অভিষেকের সোনার মত ঝকঝকে ত্বককে অটুট রাখে। মসৃণ রাখে। রোদের হামলা থেকেো দূরে রাখে।

রুপচর্চা ছাড়াও শরীরের খুঁতও ঢেকে ফেলেছেন তিনি। যেমন, প্রথমদিকে অভিষেক চোখে চশমা পড়ত। চোখের সমস্যা ছিল। পরে বিদেশ গিয়ে কোটি টাকা খরচ করে সারা জীবনের জন্য চোখ থেকে চশমা সরিয়ে নেন তিনি। এখন চশমা ছাড়াই দিব্যি ঘুরে বেড়াতে যায় তাঁকে। এগুলো ছাড়াও অনেকেই বলে থাকেন, বিদেশে গিয়ে বিভিন্ন স্কিন থেরাপিও নেন তিন। মোট কথা নিজেকে পরিপাটি রাখতে ভালো খরচা করেন টিএমসির রাজপুত্র। তবে খরচের পরিমাণ এখনও সামনে আসেনি।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *