সরকারি গাড়ি চড়ে শুটিং ফ্লোরে নায়িকা নুসরাত জাহান! সাংসদ বলে যা খুশি তাই? রেগে আগুন আমজনতা
সরকারি গাড়ি চড়ে
শুটিং ফ্লোরে নায়িকা নুসরাত জাহান!
সঙ্গে আবার স্বামী।
কাজের বেলায় দেখা নেই!
নীলবাতির গাড়ি চড়েই ঘোরাঘুরি!
সাংসদ বলে যা খুশি তাই?
ক্ষমতার অপব্যবহার!
কবার গিয়েছেন বসিরহাট?
প্রকাশ্যে অভিনেত্রী নুসরাতের কাণ্ড!
রেগে আগুন আমজনতা!
সেলিব্রেটি সাংসদ বলে কি, মন যা চাই তাই করা যায়? আইনবিরুদ্ধ কাজ করে ফের বিতর্কের শিরোমণি অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরাত জাহান। কার্যত আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বিপাকে পড়লেন বসিরহাটের সাংসদ। তিনি একজন রাজ্য শাসক দলের তারকা সাংসদ। তার কাঁধেই বসিরহাট প্রশাসনের সমস্ত দায় দায়িত্ব। তিনি যত বড়ই তারকা নেত্রী হোক না কেন, একজন সাংসদ হিসেবে তার বেশ কিছু কর্তব্য রয়েছে। সাংসদ হিসেবে আইন রক্ষা করা তার কাজ। তার জানা উচিত, ব্যক্তিগত কাজে প্রশাসনের সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করা নিষেধ। এবার নীল বাতির গাড়ি চড়ে স্বামীকে সঙ্গে শুটিং ফ্লোরে নুসরাত। ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তুলধোনা অভিনেত্রীকে।
প্রশাসনের দেওয়া নীল বাতির গাড়িকে নিজের ব্যক্তিগত কাজে লাগিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত কাজ। সরকারি গাড়িতে নুসরাতকে শুটিং-এ আসতে দেখে রেগে কাঁই আমজনতা। ধেয়ে আসে কটাক্ষ। কাজের বেলায় নাম নেই এদিকে, সরকারের গাড়িতে চ্যাংড়ামো? নুসারাতকে সরাসরি প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে আমজনতা! নেটদুনিয়ার একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন- ‘সরকারি গাড়ি কেন ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন?’, কেউ বা আবার নুসরাতকে তাচ্ছিল্যের সুরে বলেছেন- ‘সাংসদ বলে যা ইচ্ছে তাই?’! অনেকেই অভিনেত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, সাংসদ হিসেবে কখনও এই গাড়ি ব্যবহার করেননি, বসির হাটে এসে প্রান্তিক মানুষের খোঁজ খবর নেননি, অথচ নীল রঙের বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে সিনেমার শুটিং ফ্লোরে পৌঁছে যাচ্ছেন। নুসরাতের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিতর্কের ঝড়।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা রকম বিতর্কে জড়িয়েছেন নুসরাত। কিছুদিন আগেও ক্রিকেট বেটিং অ্যাপের প্রচারে একটি রিলস বানান। সেটি পোস্ট করতেই চরম কটাক্ষের শিকার হন অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরত জাহান। প্রমোশনাল পোস্টটিতে ক্যাপশনে লেখেন- ‘খেলা ছাড়া জীবনে কোনও মজা নেই?’। একজন সাংসদ হয়ে কীভাবে তিনি বেটিং অ্যাপের প্রচার করছেন? নেটিজেনদের অসন্তুষ্টির কারণ হয়ে ওঠেন অভিনেত্রী।
Leave a Reply