ভাঙড়ে কিছুতেই ঢুকতে পারছেন না নওশাদ সিদ্দিকী! পুলিশি বাঁধা,কথা কাটাকাটি, রেগেমেগে হাইকোর্টে আইএসএফ বাদশা!
কিছুতেই ভাঙড়ে ঢুকতে পারছেন না
নওশাদ সিদ্দিকী
আপ্রাণ চেষ্টা করেও পদে পদে ব্যর্থ
পুলিশি বাঁধা,কথা কাটাকাটি!
রেগে কাঁই ভাঙরের বাদশা!
অথচ তৃণমূলকে দেদার ছাড়
যত্ত চোখ রাঙ্গানি আইএসএফকে!
কেন এক ভাঙর দুই নীতি?
পুলিশকে জব্দ করতে
হাইকোর্টে ভাইজান!
পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উত্তপ্ত ভাঙর। প্রাণহানি থেকে গোষ্ঠী দন্দ সব মিলিয়ে হাওয়া গরম। যার জেরে ভাঙরে জারি ১৪৪ ধারা। এই ধারা জারি হতেই, বেজায় বিপাকে আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদের নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙড়, অথচ তাঁকেই সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্য পুলিশের আঁটোসাঁটো পদক্ষেপ আর ১৪৪ ধারার কারণে, রীতিমত দু দুবার ভাঙড়ের দুয়ারে এসেও ফিরে গেছেন নওশাদ। কোনও ভাবেই তাঁকে ভাঙরে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি দায়িত্বরত পুলিশ কর্মীরা। পথে ধর্না দিয়ে, পুলিশকে অনুরোধ করেও কোনও লাভ হয়নি। এদিকে ভাঙরে ১৪৪ ধারা জারি থাকাকালীন আরাবুল-শওকতের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে নওশাদের দাবি তাঁকে অযথা ভাঙরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনও কারণ ছাড়াই হেনস্থা করা হচ্ছে।
তাই অভিযোগ জানাতে হাই কোর্টে যান নওশাদ। তাঁর প্রশ্ন-
‘কেন বার বার পুলিশ বাধা দিচ্ছে? ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা বলা হচ্ছে শুধু।’
গত শুক্রবার ভাঙড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন নওশাদ। কিন্তু পথেই আটকে দেয় পুলিশ। অনেক ক্ষণ গাড়িতে বসিয়ে রাখা হলেও যেতে দেওয়া হয়নি ভাঙরে। এক পর্যায়ে পুলিশের আধিকারিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়। এরপর রবিবার আবারও ভাঙড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিধায়ক নওশাদ। সেবারেও ব্যর্থ হন। পুলিশের হেনস্থার মুখোমুখি হন। তিনি গোটা বিষয়টিকে অযৌক্তিক বলে দাবি করে জানান, ১৪৪ ধারা জারি হলে জমায়েত করা মানা আছে, কিন্তু কোনও মানুষের যাতায়াতে নিষেধ নেই। ভাঙরে প্রবেশের সাথে ১৪৪ ধারা লঙ্গনের কোনও যোগ নেই বলে দাবি নওশাদের। তাই সরাসরি হাই কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে জানা যাচ্ছে। তবে কখন কোন সময় এখনও জানা যায়নি। গণনার দিন থেকেই ভাঙরের অন্যরুপ দেখেছে রাজ্যবাসী। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে অনেক হতাহতের খবর আসে ভাঙর থেকে। আইএসএফ কর্মী থেকে তৃণমূল কর্মী বহু সদস্যই প্রাণ হারিয়েছে শুধুমাত্র গোষ্ঠী দন্দে।
Leave a Reply