এর আগে চাঁদে পৌঁছাতে কারো লাগেনি ৪০ দিন! কিন্তু চন্দ্রযান ৩ কেন নিচ্ছে এত সময়? প্রকাশ্যে এলো আসল সত্য

এর আগে চাঁদে পৌঁছাতে কারো লাগেনি ৪০ দিন! কিন্তু চন্দ্রযান ৩ কেন নিচ্ছে এত সময়? প্রকাশ্যে এলো আসল সত্য

এর আগে চাঁদে পৌঁছাতে
কারো লাগেনি ৪০ দিন!

কেউ ৪ দিনে
কেউ ৩৬ ঘণ্টায়
পৌঁছে গেছে চাঁদের বুকে!

তাহলে চন্দ্রযান ৩
কেন নিচ্ছে এত সময়?
কোথায় ঘটছে এত বিলম্ব?

প্রকাশ্যে এলো
আসল সত্য

ভারতের ইতিহাসে নতুন পালক যুক্ত হবে কি, হবে না, নির্ভর করছে চন্দ্রযান ৩ এর উপর। ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছে চন্দ্রযান ৩। সফল হলেই চন্দ্রজয়ীদের তালিকায় নাম উঠবে ভারতের। চাঁদে নেমে খুঁটি নাটি পরীক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে ভারতের এই মহাকাশ যান। ১৪ই জুলাই ছাড়িয়ে গেছে পৃথিবীর কক্ষপথ । এখনও চাঁদে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩৬ দিন। তবে ভারতের আগেও অনেকেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছে, তাদের এত সময় লাগেনি। যেমন, নাসা মাত্র ৪ দিনে চাঁদে পৌঁছে যায়। শক্তিশালী চিনও চাঁদে পৌঁছে যায় মাত্র ৪ দিনে। সোভিয়েত ইউনিয়ন পৃথিবী থেকে চাঁদের কাছাকাছি
পৌঁছায় মাত্র ৩৬ ঘণ্টায়। এক্ষেত্রে চন্দ্রযান ৩ এর কেন এত সময় লাগছে?

এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এক নজরে দেখুন-

এক, বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত অনেকটাই দুর্বল।

দুই,চন্দ্রযান ৩ কে সরাসরি চাঁদে পাঠাতে ইসরোর কাছে কোনও শক্তিশালী রকেট নেই।

তিন, আমেরিকা, চিন ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে চাঁদে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনেক শক্তিশালী মাধ্যম ছিল। যে মাধ্যমগুলোর কারণে, চাঁদে পৌঁছানোর রাস্তা এই ৩টি দেশের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহজ হয়ে ওঠে। অন্তত ভারতের তুলনায় অনেক সহজভেদ্য। যার ফলে অল্প সময়ের ব্যবাধানে তারা চাঁদে পৌঁছে যায়।

চার, এদিকে ভারতের হাতে নেই কোনও উন্নত ও শক্তিশালী মাধ্যম। চাঁদের পৌঁছানোর রাস্তাও অনেক দুর্গম। পাশাপাশি মহাকাশ অভিযানে ভারতের বরাদ্দ একেবারেই সীমিত।

পাঁচ, অন্যান্য দেশ যে পরিমাণ টাকা খরচ করে, ভারতের বাজেট সেই তুলনায় কিছুই না। এই কারণে ভারত চাঁদে পৌঁছাতে অন্য পথ অবলম্বন করেছে।

ছয়, ভারত ব্যবহার করছে ইঞ্জিন বার্ন। এটি তুলনামূলক অনেক কম খরচে চাঁদে পাড়ি দিতে সাহায্য করছে ভারতকে। এর সাহায্যে ধীরে ধীরে চন্দ্রযান ৩ এর গতি বাড়ানো হবে।

সাত, ‘ইঞ্জিন বার্ন’ ব্যবহার করে, চন্দ্রযান ৩ প্রথমে পৃথিবীর প্রাথমিক কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এর পর চূড়ান্ত গতি বাড়িয়ে এটি চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়বে।

আট, চাঁদে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ভারত মূলত চাঁদ ও ইসরোর মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ব্যবহার করছে।

চন্দ্রযান ৩ বেশি সময় নিলেও, যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। এত কম খরচে, নতুন পথ অবলম্বন করে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়ে অনন্য নজির গড়েছে চন্দ্রযান ৩ । দুবারের ব্যর্থতাকে ভুলে গিয়ে আবারও মহাকাশ জয়ের পথে ভারত, কুর্নিশ ভারতের অবিরাম প্রচেষ্টাকে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *