চন্দ্রযান ৩-এর দিকে হা করে তাকিয়ে আমেরিকা! কোন স্বার্থ লুকিয়ে আছে ভারতের চন্দ্রযানে? প্রকাশ্যে এলো একগুচ্ছ তথ্য!
চন্দ্রযান ৩-এর দিকে
এক নাগাড়ে তাকিয়ে আমেরিকা!
মিশন সফল হলেই খুলে যাবে
মার্কিনীদের কপাল!
বদলে যাবে ভাগ্য!
আমেরিকার কোন স্বার্থ
লুকিয়ে আছে ভারতের চন্দ্রযানে?
প্রকাশ্যে এলো
একগুচ্ছ তথ্য!
অধির আগ্রহে অপেক্ষায় কোটি কোটি ভারতবাসী। কান পেতে আছে চন্দ্রযান ৩ এর সফল ল্যান্ডিং এর খবর শুনতে। চন্দ্রযান ১ ও ২ এর ফলো আপ মিশন চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করবে এই যান। চাঁদের এই প্রান্তে এখনও পর্যন্ত কেউ পৌঁছাতেই পারেনি। চেষ্টা করেও কেউ পারেনি। এটা ভারতের ৩ নম্বর প্রচেষ্টা। চন্দ্রযান ৩ এর সাহায্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ডার এবং রোভার নামক দুটি মেশিনকে নামানোর চেষ্টায় নেমেছে ইসরো। তবে ভারতের চন্দ্রযানকে নিয়ে উত্তেজনার কমতি নেই আমেরিকার মধ্যে। কোটি কোটি ভারতীয়দের মতই চন্দ্রযান ৩-এর দিকে চেয়ে আছে আমেরিকাও।
আমেরিকার স্বার্থ কোথায় জানেন?
প্রথমেই জানাই চন্দ্র যান ৩ যে উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করতে চাঁদে পাড়ি দিয়েছে , সেই একই উদ্দেশ্যগুলো জানতে মরিয়া আমেরিকাও। কারণ এই উদ্দেশ্যগুলো পূরণ হলেই বাস্তবায়িত হবে আমেরিকার অনেক মিশন। শুধু আমেরিকা নয়, অনেক দেশই ভারতের সাফল্যে উপকৃত হবে। ভারতের চন্দ্রযান ৩ মিশনটি কীভাবে আমেরিকার কাজে লাগবে দেখুন-
এক, চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের লক্ষ্যে পাঠানো হয়েছে। একবার সফলভাবে অবতরণ করলেই শুরু করবে কাজ। প্রথম কাজ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরফ রয়েছে কি না যাচাই করা, যদি থাকেও তার পরিমাণ ঠিক কতটা হবে সেই তথ্য উদঘাটন করা। বরফ যদি বাস্তবে থাকে, তবে জলের সন্ধানও মিলবে। এই উত্তরগুলো জেনেই আমেরিকা তার পরবর্তী মিশনে সে ভাবেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে।
দুই, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কি কি সম্পদ রয়েছে সেগুলো যাচাই করবে চন্দ্রযান ৩। কি ধরনের খনিজ পদার্থ রয়েছে, সেই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখবে এই মিশন। এখান থেকে যা তথ্য জানা যাবে, সেগুলো আমেরিকা ছাড়াও অনেক দেশের পরবর্তী চন্দ্র অভিযানকে সহযোগিতা করবে।
তিন, চাঁদে ভূমিকম্প হয় কি না সেটাও যাচাই করবে ইসরোর চন্দ্রযান ৩। আর এই তথ্য একবার হাতে এলেই, যে কোনও দেশ তাদের চন্দ্র অভিযানকে সেভাবেই সুরক্ষিত করে তুলতে সক্ষম হবে।
চার, চন্দ্রযান ৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মানুষ বসবাসের কিংবা মানুষ যাওয়ার উপযুক্ত কি না সেই দিকটাও যাচাই করবে। এই তথ্যটি আমেরিকার ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
পাঁচ, তাছাড়া আমেরিকার সাথে চন্দ্রযান ৩ এর সফলতা ভাগ করে নিতে বাধ্য ভারত। তার প্রধান কারণ, সম্প্রতি নাসার নেতৃত্বে আর্টেমিস অ্যাকর্ডে স্বাক্ষর করেছে ভারত। এই চুক্তির মুল লক্ষ্যই হল ভারত ও আমেরিকার মধ্য শান্তিপূর্ণ চন্দ্র অভিযান সম্পন্ন করা। একই সাথে এই চুক্তির মধ্যে দিয়ে ভারত ও আমেরিকা মহাকাশ মিশনে জ্ঞান ও দক্ষতাকে একে অপরের সাথে ভাগ নেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে।
।
Leave a Reply