জানেন কাদের জন্য মুখ পুড়ল মমতার? মান কমল তৃণমূলের? ৫ ব্যাক্তির ৫ অপকর্মে, চুন কালি জোড়াফুলে
জানেন কাদের জন্য
মুখ পুড়ল মমতার?
মান কমল তৃণমূলের?
৫ ব্যাক্তির ৫ অপকর্মে
চুন কালি জোড়াফুলে
টিএমসিকে ধিক্কার
ছিঃ ছিঃ, ছ্যা ছ্যা
তালিকায় তৃণমূলের
হেভিওয়েট নেতৃবৃন্দরা
দেখলে চমকে যাবেন
২০২২ সাল। তৃণমূলের জন্য সবচেয়ে অভিশপ্ত একটি বছর। এই বছর একে একে জেলে যায় ঘাসফুল শিবিরের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হয়ে এখন টানছেন জেলের ঘানি। এদের কারণেই রীতিমত ডুবতে বসে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা। কটাক্ষের মুখ পড়েন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এক নজরে দেখুন ২০২২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত জেলে যাওয়া টিএমসির হেভিওয়েট ৫ ব্যক্তির তালিকা-
এক, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ঃ ২০২২ সালের সবচেয়ে চর্চিত নাম। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থকে। ২৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সে বছরই ২৩ জুলাই পার্থকে আটক করে গোয়েন্দা আধিকারিকেরা। শুধু পার্থই নয়, গ্রেপ্তার করা হয় তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতাকে। দুজনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অগাধ কালো টাকা ও নিয়োগ পত্র। যেখান থেকে স্পষ্ট প্রমাণ মেলে যে নিয়োগ দুর্নীতিতে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত পার্থ ও অর্পিতা। আপাতত জেলেই রয়েছেন দুজনে। এখনও চলছে তদন্ত।
দুই, অনুব্রত মণ্ডলঃ ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর আটক হন বীরভূমের বাদশা ওরফে অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় ফেঁসে যায় তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। অবৈধ সম্পত্তি, বেহিসেবি লেনদেন উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ মিলতেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ইডি আধিকারিকেরা। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে গ্রেফতার তার একমাত্র মেয়ে সুকন্যা। দুজনেই প্রাণপন লড়ছেন জেল থেকে ছাড়া পেতে।
তিন, জীবন কৃষ্ণ সাহাঃ চলতি বছর ১৭ এপ্রিল ইডির জালে ধরা পড়ে মুর্শিদাবাদের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। চাকরি দুর্নীতিতে বড়সড় মাথা এই মানুষটি। জীবন কৃষ্ণের বাড়ি থেকে প্রায় ৩,৪০০ চাকরি প্রার্থীর নথি উদ্ধার হয়। চাকরি প্রার্থীদের চাকরির লোভ দেখিয়ে নানাভাবে ঠকানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
চার, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রঃ কালী ঘাটের কাকু নামে পরিচিত। কিন্তু ভালো নাম তার সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। ইনি অবশ্য কোনও নেতা নন। তবে ওঠা বসা করতেন নেতাদের সঙ্গেই। নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ ভালো ভাবেই জড়িয়েছেন তিনি। এক সময় অভিষেক ব্যানার্জির সাথে লিপ্স এন্ড বাউন্স কোম্পানি পরিচলনা করতেন। যে কোম্পানির নামে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ রয়েছে। ইনিও নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হন। চলতি বছর ৩০ মে ইডির জালে ধরা পড়েন সুজয় কৃষ্ণ।
পাঁচ, কুন্তল ঘোষঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে চলতি বছর ২১ জানুয়ারি আটক হন কুন্তল ঘোষ। একাধিক অভিযোগ উঠে আসে কুন্তলের বিরুদ্ধে। কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়য় একাধিক স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি। যার সঙ্গে আয়ের কোনও সঙ্গতি নেই। এছাড়াও তার বাড়ির সামসিট থেকে চাকরি প্রার্থীদের খাম , ও এম আর শিট পাওয়া যায়। যেখান থেকে ইডির হাতে প্রমাণ মেলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের যোগসূত্রের বিষয়টি।
Leave a Reply