রেশনের বদলে সরাসরি টাকা দেবে সরকার! আর খেতে হবে না রেশনের পচা চাল, দাঁড়াতে হবে না রেশনের লম্বা লাইনে
রেশন সামগ্রীর বদলে
সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা!
আর খেতে হবে না
রেশনের পচা চাল!
দাঁড়াতে হবে না
রেশনের লম্বা লাইনে!
এবার মনের মত
কিনতে পারবেন রেশন সামগ্রী!
সরকারের নয়া উদ্যোগে
খুশিতে আত্মহারা আমজনতা!
ভারতের কোনও মানুষ যদি ভালো অর্থ উপার্জন করতে না পারে, সংসারে ভাত ডালের জোগান দিতে না পারে, তাহলেও তার জন্য কোনও চিন্তা নেই। কারণ এদের মত মানুষদের জন্য রয়েছে খাদ্য সাথী রেশন কার্ড। যার সাহায্যে বেঁচে থাকার জন্য দু মুঠো অন্নের জোগান হয়ে যায়। শুধুই কি অন্ন, তারই সাথে তেল, ডাল, গমও পাওয়া যায়। এই রেশন কার্ড ভারতের প্রত্যেক নাগরিকদের পরিষেবা দেয়। কেউ এই পরিষেবা থেকে বাদ নেই।
কিন্তু ইদানিং এই পরিষেবাকে কেন্দ্র করে একাধিক অভিযোগ উঠে আসছে। উপভোক্তারা প্রায়শই অভিযোগ তোলে, রেশন ডিলাররা ভালো খাদ্য সামগ্রী দেয় না। রেশন থেকে যে সমস্ত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়, সেগুলো থেকে গন্ধ বেরোয়। গুণগত মান ভালো নয়। নিম্ম মানের। এই সব খাদ্য দ্রব্য রান্নার পর অনেক সময় খাওয়া যায় না। আবার এমন অভিযোগও ওঠে, একজন ভোক্তাকে যতটা সামগ্রী দেওয়া দরকার তার থেকেও অনেক কম সামগ্রী দেওয়া হয়। চাল, গম, তেল সমস্ত খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নানান সময় নানান অভিযোগ ওঠে। এবার এই সমস্ত অভিযোগের অবসান ঘটতে চলেছে। কারণ এখন থেকে উপভোক্তাদের প্রাপ্য চাল, গম, তেল অর্থাৎ যাবতীয় খাদ্য সামগ্রীর বদলের টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। তাও আবার হাতে হাতে নয়। সমস্ত রকম কারচুপি, কাটমানির অবসান ঘটাতে, সরাসরি ব্যাঙ্কে দেওয়া হবে এই টাকা। অন্ত্যোদ্বয় অন্নযোজনা ক্যাটাগরিতে থাকা উপভোক্তাদের জন্য এই সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে আসা হল। এই সকল উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১৭০ টাকা করে পাঠানো হবে। এই টাকা দিয়ে উপভোক্তারা নিজের পছন্দের মত করে ভালো মানের চাল, গম, ডাল কিনতে পারবে।
তবে এই নিয়ম পশ্চিমবঙ্গে নয়, চালু হয়েছে কর্ণাটকে। উপভোক্তাদের হয়রানি কমাতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। এই টাকা পাঠানো হবে, পরিবারের প্রধান সদস্যের অ্যাকাউন্টে। যিনি পরিবারের প্রধান সদস্য এবং রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার লিঙ্ক রয়েছে ও আধার লিঙ্কের সঙ্গে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লিংক রয়েছে। তার অ্যাকাউন্টেই যাবে এই টাকা। কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের তরফে এমন প্রতিশ্রুতিই দেওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply