একেই বলে ঠ্যালার নাম বাবাজি! জব্দ রাজীব সিনহা, হাই কোর্টের গালমন্দ আসতেই, নতুন করে ভোটের আয়োজন, কোথায় কোথায় হবে নতুনভাবে ভোট?

একেই বলে ঠ্যালার নাম বাবাজি! জব্দ রাজীব সিনহা, হাই কোর্টের গালমন্দ আসতেই, নতুন করে ভোটের আয়োজন, কোথায় কোথায় হবে নতুনভাবে ভোট?

একেই বলে ঠ্যালার নাম বাবাজি!
জব্দ রাজীব সিনহা!
পেল উচিত শিক্ষা!

হাই কোর্টের গালমন্দ আসতেই
নড়েচড়ে নির্বাচন কমিশন!

ফল প্রকাশের পরেও
আবার হবে পঞ্চায়েত ভোট!

এবার আর নকল ভোট নয়
নির্বাচন হবে স্বচ্ছভাব!
কোথায় কোথায় হবে নতুনভাবে ভোট?

পঞ্চায়েত ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি যে তেঁতে উঠবে সেই আন্দাজ আগেই মিলেছে। মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোট পর্ব দফায় দফায় সংঘাত, সংঘর্ষ! মিলিয়ে দিয়েছে আমজনতার ভোট তাণ্ডবের আন্দাজক। অনেক বুথেই ভোটের দিন পরস্থিতি ছিল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তার মধ্যে একটি হাওড়ার সাঁকরাইল। যেখানে প্রায় ১৫টি বুথে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে। ভোট গণনার পর দেখা যায়, সাঁকরাইলের ১৫টি বুথেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধুই কি হাওড়া! সিঙ্গুর, উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার বেশকিছু বুথেও চুরি হয় ব্যালট বক্স। সব মিলিয়ে তুঙ্গে নির্বাচনী অশান্তি। এই সমস্ত তথ্য সামনে আসতেই নড়ে চড়ে বসেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের চাপ , হাই কোর্টের কটাক্ষ সব মিলিয়ে নির্বাচন আধিকারিক রাজীব সিনহাকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। এবার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যা শুনলে আনন্দে লাফাবেন রাজ্যের বিরোধীরা।

নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, সাঁকরাইলের ১৫টি বুথে নতুন করে ভোট হবে। একেবারেই শুরু থেকেই নতুন ভাবে চলবে ভোট প্রক্রিয়া। এছাড়াও আরও কিছু বুথেও নতুন করে ভোট হবে। এক নজরে দেখুন-

সিঙ্গুরঃ সিঙ্গুরের ১৩ নম্বর নেতাজি জয়ন্তী পাঠাগারের একটি বুথে নতুন করে ভোট নেওয়া হবে। এখানের গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম বেরাবেরি।

উত্তর ২৪ পরগনাঃ নতুন করে ভোট হবে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার পুমলিয়া স্কুলের দুটি বুথে। এখানের গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম হল ভুরখুন্ডা

এই বুথগুলোর একটাতেও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। প্রত্যেকটিতেই দেদার চলেছে ভোট ছিনতাই থেকে শুরু করে, ছাপ্পা ভোট। এই সব নিয়ে বেজায় ক্ষুব্দ হাই কোর্ট। নজরদারি থাকা স্বত্তেও কীভাবে এত অশান্তি! প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে বিডিও অফিসার। ভোটের কাজে যুক্ত সকলের কাছেই কৈফিয়ত চেয়েছে হাই কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে নির্বাচন আধিকারিক রাজীব সিনহা।

এই পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন-

“ঠ্যালায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না।”

তিনি আরও বলেন-

“আমরা আদালতে আবেদন জানিয়েছি। আইনজীবীরা সওয়াল করবেন। এর শেষ দেখে ছাড়তে চাই”।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *