ইলিশ খেলেই সর্বনাশ! শরীরে ঢুকবে বিষ, ঝুঁকিতে স্বাস্থ্য, সপ্তাহের কদিন ইলিশ খাওয়া নিরাপদ?

ইলিশ খেলেই সর্বনাশ! শরীরে ঢুকবে বিষ, ঝুঁকিতে স্বাস্থ্য, সপ্তাহের কদিন ইলিশ খাওয়া নিরাপদ?

ইলিশ খেলেই সর্বনাশ!
শরীরে ঢুকবে বিষ!

হার্ট এটাক থেকে অ্যালার্জি
শ্বাসকষ্ট থেকে গ্যাস অম্বল!

ঘন ঘন ইলিশ খেলেই
শরীরে ঘটে ৫টি বড় ক্ষতি!

সপ্তাহের কদিন ইলিশ খাওয়া
আসলেই নিরাপদ?

ইলিশ…. নামেই জিভে আসে জল। তারই উপর বর্ষার মরশুম। মাছে ভাতে বাঙালীর ঘরে ঘরে পাতে পাতে শোভা পাবে ইলিশ। কব্জি ডুবিয়ে, সর্ষে ইলিশ খাওয়ার ধুম পড়বে। শুধুই কি সর্ষে ইলিশ, ভাজা থেকে ঝোল, ঝোল থেকে ভাপা বাহারী পদে সেজে উঠবে মাছের রানী ইলিশ। ইতিমধ্যেই বাজারজুড়ে ছেয়ে গেছে ইলিশ। আচ্ছা এই যে কব্জি ডুবিয়ে ইলিশ খাচ্ছেন কিংবা খাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, জানেন ইলিশ মাছ মাত্রার বাইরে খেলে কি হতে পারে! আছে কোনও ধারণা! ইলিশ মাছের ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন তো! আজকের প্রতিবেদনে ইলিশ প্রেমীদের জন্য বড়সড় দুঃসংবাদ। অতিরিক্ত ইলিশ মাছ খেলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। সতর্ক করেছে, ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অফ ইন্ডিয়া। ইলিশ মাছ স্বাদে যেমন সেরা, তেমনি এটি বিষেও সেরা। আমরা অনেক সময় লোভ আটকাতে না পেরে, ঘন ঘন ইলিশ মাছ খাই, যা খুবই বিপদ জনক। দেখুন ইলিশ মাছ কিভাবে আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক-

পেটের গ্যাস অম্বলঃ চিকিৎসকদের মতে ইলিশ মাছ মোটেও গুরুপাক খাদ্য নয়। ইলিশ মাছে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আমাদের হজম ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। পেটের গ্যাস, অম্বলকে বাড়িয়ে তোলে। তাই যাদের হজমের রোগ আছে তাদেরকে ইলিশ মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

অ্যালার্জিঃ যারা অ্যালার্জির রোগী তাদের জন্য ইলিশ মাছ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ইলিশ মাছ অ্যালার্জিকে বাড়িয়ে দেয়। গায়ে হাতের চামড়ায় র‍্যাশ, চুলাকনিকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে নাক দিয়ে জল, চোখ জ্বালা পোড়ার মত সমস্যাগুলো বেড়ে যায়।

শ্বাসকষ্টঃ যতই জিভে জল আনুক না কেন, ইলিশ মাছ খুবই বিপদজনক। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ইলিশ মাছ একেবারেই নিষিদ্ধ। কারণ হাঁপানি রোগীরা ইলিশ মাছে খেলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।

শরীরে বিষক্রিয়া তৈরিঃ যারা ইলিশ মাছ দিয়ে দিনে ৩, ৪ বার ভাত সাবাড় করেছেন তাদের সতর্ক করেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অফ ইন্ডিয়া। ১২০ রকমের বিষাক্ত সামুদ্রিক মাছের মধ্যে ইলিশ মাছ একটি। ইলিশ মাছে স্টিডিন নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা হিস্টামিন নামক একটি উপাদান তৈরি করে। এটি মানুষের শরীরে বিষক্রিয়া ঘটায়।

হার্ট এটাকঃ এমনিতে ইলিশ মাছে থাকা প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং মিনারেল হার্টকে ভালো রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত ইলিশ মাছই আবার হার্ট এটাককে বাড়িয়ে তোলে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *