এখনই বিধানসভার ভোট হলে জিতবে কে? কে পাবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি? মমতা নাকি শুভেন্দু?
এই মুহূর্তে বিধানসভার ভোট হলে
জিতবে কে?
কে পাবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি?
মমতা নাকি শুভেন্দু?
জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কোন দল?
টিএমসি নাকি বিজেপি?
স্বপ্নপূরণের পথে ঠিক কতটা
এগিয়ে মমতা?
রাজ্যের শাসনভার পাবে কি তৃণমূল?
বাংলা হান্টের বিশ্লেষণে
চাঞ্চল্যকর তথ্য
সদ্য শেষ হল পঞ্চায়েত ভোট। বেরিয়ে গেছে রেজাল্ট। বিরোধীদের কুপোকাত করে জয় পেল তৃণমূল। তবে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সুচাগ্র মেদিনী- এমনই মনোভাব নিয়ে মাঠে নামে বিরোধী ও শাসক দল। চলতি বছর পঞ্চায়েত ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পরেই দেখা গেছে গ্রাম বাংলার পঞ্ছায়েত ভোটে কোথাও ভালো ভাবে জমি দখল করেছে শাসক দল, আবার কোথাও জমি দখল করেছে বিরোধী দল। এখানেই উঠছে লাখ টাকার প্রশ্ন! পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের উপর দাঁড়িয়ে, বিধানসভার নির্বাচনে কে জিতবে? এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যদি বাংলায় বিধানসভার নির্বাচন হয় তাহলে কোন দলের পক্ষে যাবে জনতার ভোট। উত্তরে যা বেরিয়ে এলো শুনলে চমকে যাবেন। বাংলা হান্টের সমীক্ষা ও অনুমান ভিত্তিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে বিধানসভা ভোট হলে বহু জায়গায় জিতবে বিজেপি এবং বিরোধীরা, হারবে তৃণমূল। আপনারা নিশ্চয় ভাবছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত ভালো ফল করেও, বিধান সভায় কেন তৃণমূল হারবে, আর বিজেপি ও বিরোধীরা জিতবে! এমন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। বাংলা হান্টের বিশ্লেষণ থেকে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে, যেগুলো বিধানসভায় বিজেপি ও বিরোধীদের জয়ের কারণকে স্পষ্ট করে। এই কারণ গুলোর জন্যই বিজেপি ও বিরোধীরা কোথাও গিয়ে আমজনতার মনে শেষ ভরসা হয়ে উঠেছে। এক নজরে দেখুন কারণ গুলো-
এক, পঞ্চায়েত ভোটে গোষ্ঠী দন্দঃ- চলতি বছর পঞ্চায়েত ভোটে অনেক বেশি গোষ্ঠী দন্দ বাঁধে। রাজনৈতিক ময়দানে শাসক দল ও বিরোধী দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। অধিকাংশ মিডিয়া ও প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে এই সমস্ত লড়াই , দ্বন্দ্বের পিছনে সবচেয়ে বেশি উস্কানি রয়েছে তৃণমূলের। বিরোধীরাও বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এর ফলে জনমানসে তৃণমূল সম্পর্কে যেমন নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। ঠিক সেইরকমই বিরোধীদের নিয়েও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তাই পঞ্চায়েত ভোটে জিতলেও এর ফল ভুগতে হবে বিধানসভার ভোটে।
দুই, মনোনয়ন জমা দিতে বাঁধাঃ ইতিমধ্যেই শাসক দল তৃণমূলের প্রতি আমজনতার আক্রোশ তৈরি হয়েছে। তার একটি অন্যতম কারণ গ্রাম বাংলার পুর ভোটে বহু বিরোধী শিবিরকেই মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি তৃণমূল। বিরোধীদের ভোটে হারার পেছনে এটি একটি অন্যতম কারণ। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরোনোর পরেই দেখা গেছে অনেক বিরোধীরাই এই অভিযোগ সামনে এনেছেন। তাদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি শাসক শিবির। এর ফলে বিরোধী দলের সমর্থকদের মনেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এর ফল যে তৃণমূলকে ভুগতেই হবে তা বলাই বাহুল্য।
তিন, ভোট পর্বে কারচুপিঃ চলতি বছর পঞ্চায়েত ভোটে বেশ ভালো রকম কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ সাধারণ থেকে বিরোধীদের। সেই দৃশ্য বারে বারে ফুটে উঠেছে সংবাদ পত্র থেকে শুরু করে টিভির পর্দায়। ছাপ্পা ভোট, ব্যালট পেপার ছিবিয়ে খাওয়া, ব্যালট বক্স চুরি, ব্যালট বক্সে জল ঢালা অনেক দৃশ্যের সাক্ষী থেকে আমজনতা। এই সমস্ত কাজের সঙ্গে শাসক দলের নাম বারে বারে জড়িয়েছে। এর ফলেও কিন্তু আমজনতার আস্থা হারিয়েছে তৃণমূল।
চার, ভোট সুরক্ষায় গাফিলতিঃ ভোট সুরক্ষার গাফিলতিতে কমিশনের নাম জড়িয়েছে প্রথম থেকেই। এবারের পঞ্চায়েত ভোটকে আরও বেশি সুরক্ষিত রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়। প্রথম দিকে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর বিষয়টি নিয়ে বিরোধীতা করেন। পশ্চিমবঙ্গে একাধিক স্পর্শ কাতর বুথ রয়েছে। সেখানে শান্তি পূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে অবশ্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো আবশ্যক ছিল। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূলও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যে আসতে বাঁধা দেওয়া, আমজনতার মনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করেছে। এরই সাথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও, তাদেরকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। এই সব বিষয় নিয়ে সরব হয়েছে আমজনতা। এর ফল বিধান সভার ভোটে অবশ্যই পাবে বলে মনে করছে বিশিষ্টরাও।
পাঁচ, পুনর্নির্বাচনঃ চলতি বছরের পঞ্চায়েত ভোট একবারে সম্পন্ন হয়নি। অশান্তির মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল, অনেক গুলো কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হয়েছে। বিষয়টি রাজ্যের জন্য খুবই লজ্জার। শান্তি পূর্ণ নির্বাচন পরিচালনায় রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। এর পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, পুনর্নির্বাচন হওয়া অনেক জায়গায় জয়লাভ করেছে বিরোধীরা।
Leave a Reply