ভাঙরে ঘাড় ধাক্কা নওশাদ সিদ্দিকীকে! হল না মানরক্ষা, আরাবুলের খাসতালুক ভ্যানিশ আইএসএফ

ভাঙরে ঘাড় ধাক্কা নওশাদ সিদ্দিকীকে! হল না মানরক্ষা, আরাবুলের খাসতালুক ভ্যানিশ আইএসএফ

ভাঙরে ঘাড় ধাক্কা
নওশাদ সিদ্দিকীকে!
হল না মানরক্ষা!

আরাবুলের খাসতালুকে
ভ্যানিশ আইএসএফ!

নির্বাচনী ময়দানে
মুখ থুবড়ে ভাইজান!

পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চায় থেকেছেন নওশাদ সিদ্দিকী। অল্প সময়ের মধ্যেই তাবড় তাবড় নেতাদের পাঙ্গা দিয়েছেন। তার ফলও ভুগতে হয়েছে। কখনও কলকাতার রাস্তা থেকে রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফপ্তার হয়েছেন, কখনও চক্রান্ত করে তার বিরুদ্ধে উঠেছে বলপূর্বক সহবাসের অভিযোগ। তবে কোনও ভাবেই দমানো যায়নি ভাঙরের এই তরুণ নেতাকে। হাজারও অভিযোগ, ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে বারে বারে ফিরে এসেছেন তিনি। বড় কোনও বিরোধী দলের নেতা না হলেও, বুকে সাহস রেখে টক্কর দিয়েছেন শাসক দলকে। সেই নওশাদ সিদ্দিকীই নিজের মান রাখতে পারলেন না পঞ্চায়েত ভোটে। অনেকেরই আশা ভরসা ছিল, ২০২১ এর পর আবারও হয়ত ভাঙরে ঝড় তুলব নওশাদের দল আইএসএফ। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তেমটা হল না। তৃণমূলের সামনে খাতাই খুলতে পারল না ভাঙরের ভাইজান।

ভাঙরে ১৯টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূলের দখলে যায় ১৮টি। আইএসএফ ও জমিরক্ষা কমিটি পায় একটি মাত্র পঞ্চায়েত। তবে সবচেয়ে অবাক কাণ্ড, শুরু থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল, ভাঙরে খাতা খুলবে আরাবুল ইসলাম। শুরু থেকে তেমনটাই দাপট দেখিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু ফল প্রকাশ হতেই ঘুরে যায় খেলা। তৃণমূলকে পেছনে ফেলে উঠে আসে জমি রক্ষা কমিটি। অর্থাৎ, ভাঙরে টিএমসি জিতলেও, তৃণমূলের হয়ে নিজের গড়ে জিততে পারেননি আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ে মোট দু’টি ব্লক— ভাঙড় ১ এবং ভাঙড় ২-। এই দুটি ব্লকে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে যথাক্রমে – ৯ টি এবং ১০ টি। এর মধ্যে ভাঙড় ১-এর ৯ টি পঞ্চায়েতেই ভোট হয়নি। একইভাবে ভোট হয়নি ভাঙড় ১-এর ২৭টি পঞ্চায়েত সমিতিতেও। কারণ এখানে সম্পূর্ণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল।

অন্যদিকে ভাঙড় ২ ব্লকের মোট ৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে ১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। বাকি পড়ে থাকে ১৬টি পঞ্চায়েত সমিতি। তার মধ্যে ৫টি আসন পেয়েছে আইএসএফ। ৩টি পেয়েছে জমি রক্ষা কমিটি।
বাকি আটটি পেয়েছে তৃণমূল। ভাঙড় ১ এবং ভাঙড় ২ মিলিয়ে জেলা পরিষদ ছিল ৬টি। এর মধ্যে দু’টিতে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে। বাকি চারটি আসনে লড়াই হয়। তার মধ্যে একটি জিতেছে আইএসএফ বাকি তিনটি তৃণমূল পেয়েছে। তবে ভোট গণনার শেষে ফলাফল বেরোতেই আশাহত ভাইজানের অনুগামীরা। আইএসএফকে কেন্দ্র করে ভাঙরবাসীর মধ্যে উত্তেজনার কমতি ছিল না। তবে পরিশেষে বলতেই হয় ভোটের ফলাফল গণতন্ত্রের জয়কেই সুনিশ্চিত করেছে।


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *